BUDDHADEB BHATTACHARJEES SISTER IN LAW IRA BASU LIVING ON FOOTPATH AT DUNLOP

ভাগ্যের ফেরে ছিলেন ফুটপাথে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা এখন মানসিক হাসপাতালে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

পুরনো দিনের কথা তিনি আর বলতে চান না। গত দু’বছর ধরে ডানলপের ফুটপাতকে নিজের ‘ঘর’ বানালেও কারও সাহায্য নিতে নারাজ। এক ভাঁড় চা-ও কিনে খান। আবার, নিজের টাকায় পছন্দের দোকানদারকে বিরিয়ানিও খাওয়ান!  খড়দহ প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের এক সময়ের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ইরা বসুর জীবনটা আজ এমন কেন? ডানলপ মোড়ের এটিএমের কোনায় নিজেকে সিঁটিয়ে রেখে বৃহস্পতিবার ৭২ বছরের বৃদ্ধা চেঁচিয়ে উঠলেন, “আমার জীবন, আমি যা খুশি করব।”

ঘটনা হল, ইরাদেবীর আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharjee) সহধর্মিনী মীরা ভট্টাচার্যের বোন। মানে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালিকা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইরাদেবীকে নিয়ে আলোচনা দানা বেঁধেছে। শিক্ষিকার চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ঠিক কী হয়েছিল, সত্তর ছুঁইছুঁই বৃদ্ধা স্পষ্ট মনেও করতে পারেন না। কীভাবে সুখী জীবন থেকে ফুটপাথে ঠাঁই হল, সে বৃত্তান্তও বিস্মৃত হয়েছেন।

ক্রমশ খবরটা পৌঁছয় খড়দহ পুরসভার কাছে। সেখান থেকে বরাহনগর থানায়। সিপিএম নেতারাও যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। বিকেলে ইরাদেবীকে লুম্বিনী পার্ক মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে এক জন শিক্ষিকা কেন আজ ডানলপের সকলের কাছে ‘ভবঘুরে মাসিমা’, সেই রহস্য খোলসা করতে চাননি বৃদ্ধা।

কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তো তাঁর জামাইবাবু। তার পরেও তিনি ভবঘুরে! কিছু ক্ষণ চুপ থেকে, ঘাড় পর্যন্ত ছাঁটা উসকোখুসকো চুল ও শতচ্ছিন্ন নাইটি পরা বৃদ্ধা বিরক্তি প্রকাশ করে বললেন, “মানুষটা (বুদ্ধবাবু) আজ অসুস্থ। মীরাদেবীও অসুস্থ। ওঁদের করোনা হয়েছিল। কেন ওঁদের নিয়ে টানাটানি করছেন?’’ বৃহস্পতিবার সকালে পথচলতিরাও বৃদ্ধার কথা শুনে থমকেছেন। প্রশ্ন করেছেন, ‘উনি বুদ্ধবাবুর শ্যালিকা?’

আরও পড়ুন: ‘ভবানীপুর নিজের মেয়েকেই চাই’ ,আজ ভবানীপুরে প্রচার শুরু মমতার

গত ৫ সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবসে কয়েক জন প্রাক্তন ছাত্রী এসে তাঁকে সংবর্ধনা দিয়ে গিয়েছেন। ১৯৭৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেছেন খড়দহের ওই স্কুলে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণকলি চন্দ বলেন, “শুনেছি, উনি অবিবাহিতা ছিলেন। ওঁর সময়কার প্রধান শিক্ষিকার বাড়িতে এক সময়ে থাকতেন। এখন কেন রাস্তায় থাকেন, জানি না।’’ কৃষ্ণকলিদেবী জানান, আগের প্রধান শিক্ষিকার চেষ্টায় ইরাদেবী পিএফের টাকা পেলেও প্রয়োজনীয় কাগজ জমা করতে না পারায় পেনশন পান না।

খড়দহের বাসিন্দা, প্রিয়নাথ হাই স্কুলের (Priyonath High School) সঙ্গে যুক্ত এক সিপিএম কর্মীর কথায়, “বুদ্ধবাবু এখানে সরকারি বা পার্টির মিটিংয়ে এলে ইরা বসু আসতেন। আমরা দেখেছি, ভাষণ শেষ করে ফেরার সময় উনি ইরাদেবীর সঙ্গে কথা বলছেন।” শ্যালিকার এই অবস্থা উনি জানেন?

বৃহস্পতিবার বেশ কয়েক বার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে টেলিফোন করার পর মিলল একটাই উত্তর, “এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য নেই।” প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্যের (Tanmoy Bhattacharya) মন্তব্য, “পারিবারিক অশান্তির জন্য ওঁর মানসিক ভারসাম্য কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে পথে পথে ঘুরছেন। এর আগেও তো ইরা বসুর সম্পর্কে লেখা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Bansdroni Shootout: বাঁশদ্রোণীতে বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীদের গুলি, ধৃত অন্যতম অভিযুক্ত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest