সাত সকালে শিউরে দেওয়ার মতো ঘটনার সাক্ষী রইল শহর কলকাতা। মা উড়ালপুলে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মরণঝাঁপ দিলেন এক ব্যক্তি। রবিবার সকালে সায়েন্স সিটির কাছে ঘটে এই ঘটনা। দেহ উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিক্যালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ওইদিন সাতসকালে বাইকে চড়ে মা উড়ালপুলে ওঠেন প্রণব কুণ্ডু নামে বছর আটান্নর ওই প্রৌঢ়। তিনি লেকটাউনের শ্রীভূমির বাসিন্দা। মিলন মেলা গেটের সামনে মা উড়ালপুল থেকে ঝাঁপ দেন ওই প্রৌঢ়। স্থানীয়রা বিকট শব্দ পান। ঘুমঘোর কাটিয়ে দৌড় যান অনেকেই। দেখেন মিলন মেলা গেটের সামনে এক প্রৌঢ় পড়ে রয়েছেন। খবর দেওয়া হয় প্রগতি ময়দান থানায়। পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রৌঢ়কে উদ্ধার করা হয়। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা জানান,কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক যানজট ছড়ায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রণবের রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় অনেক দিন ধরে মন্দা চলছিল। তিনি বাড়িতে কারও সঙ্গে ঠিক মতো কথা বলছিলেন না বলেই জানিয়েছে পরিবার। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিছক আর্থিক মন্দার জেরে আত্মহত্যা, না কি এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মৃতের বাইক এবং চটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মা উড়ালপুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শনিবারই ফুলবাগানে বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন এক বৃদ্ধা। সুইসাইড নোট লিখে রেখে যান তিনি। তাঁর চশমার বাক্স থেকে সেগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলায় লেখা ছিল সেগুলি। একটিতে লেখা তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান। অপরটিতে লেখা, “কারও বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।” ওই বৃদ্ধার ছেলে, মেয়ে বিদেশে বসবাস করেন। কলকাতায় একাই থাকতেন মা। একাকীত্বের জেরেই বৃদ্ধা আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।