দুই দিন আগেই ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে খামবন্দি রিপোর্ট জমা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এদিন মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টে। উচ্চ আদালতের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে ভোট পরবর্তী সকল অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করতে বলা হয় পুলিশকে। এদিকে যাদবপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের হেনস্থা করার ঘটনায় ডিএম, পুলিশ সুপারকে নোটিশ পাঠিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডে ফের বদলাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী ? কুরসি খোয়াতে পারেন তিরথ সিং রাওয়াতও
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’র মামলা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার এই মামলার শুনানি শুরু হলে আদালত জানায়, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসার ভার রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যতগুলো অভিযোগ ছিল সব ক’টা রেকর্ড করতে হবে। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করতে হবে পুলিশকে। শুধু তাই নয়, যাঁদের রেশন কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের সকলকে রেশন দেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে সরকারকে।
এদিকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্তের মেয়াদ ১৩ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয় উচ্চ আদালতের তরফে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুলাই হবে বলে জানিয়ে দেয় আদালত। উল্লেখ্য, এর আগে ১৮ জুন ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে হাইকোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ। নির্দেশে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের পরিস্থিতি ঘুরে দেখে মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট দেবে আদালতকে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে কমিশনের প্রতিনিধিদের। এর অন্যথা হলে আদালত অবমাননার দায় নিতে হবে রাজ্যকে। এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।