Calcutta High Court does not interfere in PIL in Pujo Donation

Durga Puja 2022: পুজোয় অনুদান দেওয়া যাবে, হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

দুর্গাপুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুদান দেওয়া নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। পুজো কমিটিগুলোকে (Puja Committee) অনুদান দেওয়া নিয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলাগুলোর শুনানি ছিল আজ হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে দায়ের হওয়া মামলাগুলির রায়ে হাইকোর্ট জানাল, অনুদান দেওয়া নিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া যাবে।

৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছিল ইউনিটি ফোরাম, কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যকে নোটিশ জারি করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। জবাবে রাজ্য সরকার হলফনামা জমা দিয়ে জানায়, কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘ ভাতা বাকি নেই।

আরও পড়ুন: Baguiati Murder: বাগুইআটির দুই ছাত্রকে অপহরণ করে খুন, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর

মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের যুক্তি, ‘পুজোর নাম করে নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে অনুদান দেওয়া সংবিধান বিরোধী।’ যদিও রাজ্য সরকারের দাবি, এই টাকা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য খরচ করা হবে। এই মামলার শুনানির শেষদিন বিচারপতি সরকার পক্ষকে প্রশ্ন করেছিলেন, অনুদানের টাকা যে নির্দিষ্ট খাতেই ক্লাবগুলো ব্যয় করবে সেটা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে? শেষমেষ ৬টি শর্ত মেনে অনুদানে সায় দিল উচ্চ আদালত।

এর আগে হলফনামায় অনুদান প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি যুক্তি দেয় রাজ্য। বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী, রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতেই পারে। এতে কোনও বাধা নেই। তার পর ইউনেসকোর তরফ থেকে দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ার কথা তুলে ধরে রাজ্য এ-ও জানায়, এটা শুধু রাজ্যের নয়, দেশের জন্যও গর্বের বিষয়। সংবিধানের ৫১ (এ) ধারা অনুযায়ী, হেরিটেজ রক্ষার দায়িত্ব দেশের প্রত্যেক নাগরিকের। সেই মোতাবেক রাজ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশা করা হয়, তারা যেন এগুলির সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে উৎসবকে মসৃণ ভাবে পরিচালনা করার জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করার জন্য নয়। শেষমেশ মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি খানিক কাটল।

আরও পড়ুন: Weather Update: আরও গভীর নিম্নচাপ, দুর্যোগ চলতে পারে বুধবার পর্যন্ত

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest