Calcutta High Court give permission for minor in 24 weeks of pregnancy

Calcutta High Court: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত হবে এসএসকেএম -এ, অনুমতি হাই কোর্টের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

১১ বছরের নাবালিকার গর্ভপাতের সায় দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট পাওয়ার পরই ২৬ সপ্তাহের অন্ত্বঃসত্তাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল আদালত। নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে হাই কোর্ট সূত্রে খবর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় এসএসকেএম হাসপাতালে গর্ভপাত করানোর নির্দেশ বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।

১১ বছরের মেয়ে ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। জানতে পেরে গর্ভাবস্থার ২৪ সপ্তাহ পরে মেয়ের গর্ভপাত করানোর অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা-মা। ওই নাবালিকা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। কয়েক মাস আগে তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ওই নাবালিকার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার বিষয়টি এত দিন জানতে পারেনি পরিবার। গত মাসে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা তা জানতে পারে। নাবালিকার মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্টের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। এর পর হাসপাতালের তরফে তাদের জানানো হয়, উচ্চ বা শীর্ষ আদালতের অনুমতি ছাড়া এই গর্ভপাত কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ক্যালকাটা হাইকোর্টের ৩ বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ সুপ্রিম কোর্টের

আইন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কোনও মহিলা, নাবালিকা বা নাবালিকার পরিবার ২০ সপ্তাহ সময় পর্যন্ত গর্ভপাত করাতে চেয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিশেষ পরিস্থিতিতে তা ২৪ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানো যায়। তার পরে গর্ভপাত করাতে গেলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় নাবালিকার পরিবার।

মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট মেনে অবশেষে অনুমতি দিল আদালত। পরিবারের আইনজীবী প্রতীক ধর এবং আইনজীবী চিত্তপ্রিয় ঘোষ তাঁদের সওয়ালে জানিয়েছিলেন, মেয়েটি একটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চায়। এখন সন্তান জন্ম দেওয়ার মতো তার মানসিক অবস্থা নেই। তাঁদের বক্তব্য, নাবালিকার পরিবার আর্থিক ভাবে খুবই দুর্বল। সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও কম। আইন সম্পর্কে তাঁরা একেবারেই ওয়াকিবহাল নন। সেই কারণেই গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানাতে পর্যন্ত দেরি করেছে তারা। গত মাসে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সাহায্যে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানায় এফআইআর দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার।

আরও পড়ুন: Suryakanta Mishra: বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সূর্যকান্ত মিশ্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest