Calcutta High Court: Kolkata judge reverses 'remove shivling' order as official recording verdict faints

Calcutta High Court: শিবলিঙ্গ উচ্ছেদের ঘোষণা বিচারপতির, রায় লিখতে গিয়ে অজ্ঞান রেজিস্ট্রার!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বিতর্কিত জমি থেকে শিবলিঙ্গ সরাতে হবে, এমনই রায় দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কিন্তু সেই শিবলিঙ্গ (shivaling) উচ্ছেদের রায় নথিভুক্ত করতে গিয়েই জ্ঞান হারালেন সহকারী রেজিস্ট্রার (assistant registrar)। আচমকা এমন ঘটনা ঘটায় এজলাসে হুলস্থূল পড়ে যায়। শেষে নিজের রায়ই বদলে ফেলেন বিচারপতি। শুক্রবার এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল হাইকোর্ট।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এক খণ্ড জমি নিয়ে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার খিদিরপুরের বাসিন্দা সুদীপ পাল ও গোবিন্দ মণ্ডলের মধ্যে বিবাদ চলছিল। চলতি বছরের মে মাসে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয় বিবাদ। একে অপরের  বিরুদ্ধে বেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুদীপ ও গোবিন্দ। নিম্ন আদালত থেকে উভয়েই জামিন পান।

অভিযোগ, এরপরই বিতর্কিত জমিতে রাতারাতি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন গোবিন্দ। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন সুদীপ। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়। কিন্তু, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সুদীপ। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলার শুনানিতে পিটিশনকারী সুদীপ পালের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতকে বলেন, ‘বিতর্কিত জমিতে গোবিন্দ ইচ্ছাকৃতভাবে শিবলিঙ্গ স্থাপন করেছিলেন। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই এ বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক।’

আরও পড়ুন: Land Subsidence: শিয়ালদহ এবং বিধাননগর স্টেশনের মাঝে ধস, ব্যাহত ট্রেন চলাচল, ভোগান্তি

বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এবার গোবিন্দ মণ্ডলের আইনজীবিকে প্রশ্ন করেন, কেন আপনি বিতর্কিত জমিতে শিবলিঙ্গ স্থাপন করেছেন? বিচারাধীন সম্পত্তিতে শিবলিঙ্গ স্থাপন করা কি যায়?’ জবাবে গোবিন্দর আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল শিবলিঙ্গ প্রতিস্থাপন করেননি। শিবলিঙ্গ নিজেই মাটি ফুঁড়ে উঠেছে।’ ওই কথা শুনে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিচারাধীন জমিতে হঠাৎ শিবলিঙ্গ এইভাবে স্থাপন করা যায় না। আমি এটা সরানোর নির্দেশ জারি করছি।’

বিচারপতির নির্দেশের পর সহকারী কোর্ট রেজিস্ট্রার বিশ্বনাথ রায় বিচারপতির রায় নথিভুক্ত করতে শুরু করেন। সেই রায় কিছুটা নথিভুক্ত করার পরই হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা হাইকোর্টের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেই সময় কয়েক মিনিটের জন্য এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মিনিট দশেক পর এজলাসে ফিরে তিনি বলেন, ‘আদালত এই বিষয় কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। শিবলিঙ্গ স্থাপনের বিষয়টি নিম্ন আদালতের দেওয়ানি মামলার মাধ্যমে বিচার হবে। আমি এই মামলার নিষ্পত্তি ঘোষণা করলাম।’

আরও পড়ুন: Buddhadeb Bhattacharjee: স্ট্রেচারে বের করা হল হাসপাতাল থেকে, বাড়ির পথে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest