ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদের মধ্যে মতবিরোধ, এবার বৃহত্তর বেঞ্চে Narada মামলা

এ দিন ধৃত চার নেতার জামিনের আবেদনের শুনানিতে দুই বিচারপতির মধ্য়ে মতানৈক্য় হয়৷ কারণ, দুই বিচারপতির অন্য়তম অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায় চার নেতাকে অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেন৷ কিন্তু এই নির্দেশের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল৷
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নারদ কাণ্ডে ধৃত চার নেতাকেই আপাতত গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ একই সঙ্গে মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশি দিয়েছে  ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ তবে গৃহবন্দি করার এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি৷ একই ভাবে গৃহবন্দি করার নির্দেশের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়েছেন সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করা তুষার মেহতা৷

আরও পড়ুন : পালটা চাপ? আর্থিক তছরুপ মামলায় CID-র নোটিশ পড়ল অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে

এ দিন ধৃত চার নেতার জামিনের আবেদনের শুনানিতে দুই বিচারপতির মধ্য়ে মতানৈক্য় হয়৷ কারণ, দুই বিচারপতির অন্য়তম অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায় চার নেতাকে অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেন৷ কিন্তু এই নির্দেশের বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল৷ তিনি চার নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখার পক্ষে মত দেন৷

এর পরই মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর পক্ষে মত দেন দুই বিচারপতি৷ এর ফলে এই দুই বিচারপতির সঙ্গে আরও একজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত হবে বৃহত্তর বেঞ্চ৷ সেই বেঞ্চের নির্দেশের উপরে নির্ভর করছে চার নেতার জামিন ভাগ্য়৷ ততদিন পর্যন্ত গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হবে চার নেতাকে৷

তবে চার নেতার হয়ে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, গৃহবন্দি করা আর জেলে বন্দি থাকার মধ্য়ে কোনও পার্থক্য নেই৷ একই সঙ্গে এই গৃহবন্দি থাকার নির্দেশের বিরোধিতা করেন সিবিআই-এর পক্ষে সওয়াল করা তুষার মেহতাও৷ যদিও নিজেদের মতে অনড় থাকেন দুই বিচারপতি৷

এর পরেই অভিযুক্তদের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, যত দ্রুত সম্ভব যাতে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে শুনানি শুরু হয়৷ প্রয়োজনে শনিবার এবং রবিবার ছুটির দিনেও শুনানির দাবি জানান তিনি৷ তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, নিম্ন আদালত জামিন দেওয়ার পরও গত ১৭ মে যে তৎপরতার সঙ্গে রাতেই সিবিআই-এর আবেদনের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট, সেই একই তৎপরতা দেখিয়ে বেলা দুটোর মধ্যে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করার হোক৷ কার্যত সেই দাবি মেনে নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, এ দিন বেলা দুটো থেকেই বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করে শুনানি শুরু হবে৷

এর পাশাপাশি অভিযুক্তদের পক্ষে আরও যুক্তি দেওয়া হয়, করোনা পরিস্থিতিতে কোনও কাজই করতে পারছেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমদের মতো মন্ত্রীরা৷ ফলে, তাঁরা যাতে অন্তত সেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারেন, সেই অনুমতি দিক আদালত৷ জানা গিয়েছে, গৃহবন্দি থাকাকালীন চার নেতাকে ভার্চুয়ালি প্রশাসনিক কাজ করার অনুমতি দিয়েছে আদালত৷

আরও পড়ুন : মমতার জন্য ভবানীপুর কেন্দ্র ছাড়ছেন শোভনদেব, আজই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest