West Bengal bye elections: উপনির্বাচনে রাজি নির্বাচন কমিশন, নবান্নে এল সবুজ সঙ্কেত!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

রাজ্যসভার দু’ টি আসনের ভোটগ্রহণ এবং বিধানসভার ফাঁকা আসনগুলিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপনির্বাচন চেয়েছিল রাজ্য সরকার৷ উপনির্বাচন হলে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনকে সবরকম সহযোগিতা করতে তৈরি বলেও রাজ্য সরকারের তরফে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ নবান্ন সূ্ত্রে খবর, উপনির্বাচন করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সবুজ সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে৷ ফলে কিছুদিনের মধ্যেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে৷

আরও পড়ুন : দেশের নয়া ডিজিটাল নীতি মেনে প্রথম পদক্ষেপ, ৫৯ হাজার লিংক সরাল Google

এই মুহূর্তে রাজ্যের পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে৷ প্রার্থীর মৃত্যুতে আরও দু’টি আসনে ভোট গ্রহণই হয়নি৷ সবমিলিয়ে তাই সাতটি কেন্দ্রে ফের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে৷

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি চান যত শিগগির সম্ভব রাজ্যের উপনির্বাচনগুলি সম্পন্ন হোক৷ রাজ্য প্রশাসনের তরফেও নির্বাচন কমিশনকেও সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছিল৷

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইঞা এবার সবং কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন৷ ফলে এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভার ওই আসনটি ফাঁকা রয়েছে৷ তৃণমূলের আর এক রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীও সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছেন৷ ফলে তাঁর ছেড়ে দেওয়া আসনেও ফের ভোট হবে৷

ভোটের আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের জঙ্গীপুর কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷ ফলে ওই দু’টি কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়৷

আবার ভোটের ফলে বেরনোর পর ভবানীপুর কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন৷ ওই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পাশাপাশি খড়দহ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ভোটে জয়ী হলেও ফলপ্রকাশের আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর৷ খড়দহ থেকে সম্ভবত ভোটে লড়ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ দিনহাটা এবং শান্তিপুর থেকে জয়ী দুই বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার সাংসদ থাকবেন বলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন৷ তাই ওই দুই কেন্দ্রেও ফের ভোট হবে৷ এ ছাড়া গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর কয়েকদিন আগে প্রয়াত হন৷ গোসাবাতেও উপনির্বাচন করাতে হবে৷

রাজ্য প্রশাসনের মতে, করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে৷ ফলে পাঁচ কেন্দ্র উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রে ভোট করানোর জন্য এটাই আদর্শ সময়৷ কারণ এর পরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ সত্যিই সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচনের আয়োজন করা কঠিন হবে৷ পাশাপাশি, এ দিন থেকেই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে৷ ফলে বিধায়করা উপস্থিত থাকায় রাজ্যসভার ভোট করাতেও অসুবিধা হবে না৷ রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছিল৷

আরও পড়ুন : ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয়,বাংলার মেয়ের বিরল বিজ্ঞান-সম্মান

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest