Site icon The News Nest

West Bengal bye elections: উপনির্বাচনে রাজি নির্বাচন কমিশন, নবান্নে এল সবুজ সঙ্কেত!

রাজ্যসভার দু’ টি আসনের ভোটগ্রহণ এবং বিধানসভার ফাঁকা আসনগুলিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপনির্বাচন চেয়েছিল রাজ্য সরকার৷ উপনির্বাচন হলে প্রশাসন নির্বাচন কমিশনকে সবরকম সহযোগিতা করতে তৈরি বলেও রাজ্য সরকারের তরফে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ নবান্ন সূ্ত্রে খবর, উপনির্বাচন করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের সবুজ সঙ্কেত এসে পৌঁছেছে৷ ফলে কিছুদিনের মধ্যেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে৷

আরও পড়ুন : দেশের নয়া ডিজিটাল নীতি মেনে প্রথম পদক্ষেপ, ৫৯ হাজার লিংক সরাল Google

এই মুহূর্তে রাজ্যের পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে৷ প্রার্থীর মৃত্যুতে আরও দু’টি আসনে ভোট গ্রহণই হয়নি৷ সবমিলিয়ে তাই সাতটি কেন্দ্রে ফের ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে৷

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকদিন আগেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি চান যত শিগগির সম্ভব রাজ্যের উপনির্বাচনগুলি সম্পন্ন হোক৷ রাজ্য প্রশাসনের তরফেও নির্বাচন কমিশনকেও সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছিল৷

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইঞা এবার সবং কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন৷ ফলে এ রাজ্য থেকে রাজ্যসভার ওই আসনটি ফাঁকা রয়েছে৷ তৃণমূলের আর এক রাজ্যসভার সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীও সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছেন৷ ফলে তাঁর ছেড়ে দেওয়া আসনেও ফের ভোট হবে৷

ভোটের আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের জঙ্গীপুর কেন্দ্রের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান৷ ফলে ওই দু’টি কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়৷

আবার ভোটের ফলে বেরনোর পর ভবানীপুর কেন্দ্রের জয়ী প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেন৷ ওই কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এর পাশাপাশি খড়দহ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা ভোটে জয়ী হলেও ফলপ্রকাশের আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর৷ খড়দহ থেকে সম্ভবত ভোটে লড়ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়৷ দিনহাটা এবং শান্তিপুর থেকে জয়ী দুই বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার সাংসদ থাকবেন বলে বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন৷ তাই ওই দুই কেন্দ্রেও ফের ভোট হবে৷ এ ছাড়া গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর কয়েকদিন আগে প্রয়াত হন৷ গোসাবাতেও উপনির্বাচন করাতে হবে৷

রাজ্য প্রশাসনের মতে, করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে৷ ফলে পাঁচ কেন্দ্র উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রে ভোট করানোর জন্য এটাই আদর্শ সময়৷ কারণ এর পরে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ সত্যিই সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচনের আয়োজন করা কঠিন হবে৷ পাশাপাশি, এ দিন থেকেই বিধানসভার অধিবেশন শুরু হয়েছে৷ ফলে বিধায়করা উপস্থিত থাকায় রাজ্যসভার ভোট করাতেও অসুবিধা হবে না৷ রাজ্যের তরফে নির্বাচন কমিশনকে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছিল৷

আরও পড়ুন : ৫৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম ভারতীয়,বাংলার মেয়ের বিরল বিজ্ঞান-সম্মান

 

Exit mobile version