ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। চলতি মাসের শেষে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে বাংলা বা ওড়িশা উপকূলে। গত কয়েকদিনে এই খবরে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। বিষয়টি নজরে পড়তেই আমফান (Amphan) পরবর্তী পরিস্থিতি স্মরণ করে অনেকেই সুরক্ষিত স্থানে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাল, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
হাওয়া অফিসের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মার্চের শেষে বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার যে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, তা ভুয়ো। আবহাওয়া দফতরের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, আগামী ১০ দিনে কোনও সাইক্লোনের সম্ভাবনা নেই। আরও জানানো হয়েছে যে, যদি কোনও ঝড়ের সম্ভাবনা থাকে সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট, ই মেল বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানানো হবে। তার কী প্রভাব পড়তে পারে, তাও জানানো হবে।
আরও পড়ুন: বিজেপির প্রার্থী হচ্ছি না, নাম ঘোষণার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন সোমেন-জায়া
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪-৫ দিনে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র পশ্চিমের জেলা অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়ায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, কলকাতায় আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা থাকবে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
গত বছর মে মাসে রাজ্যে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। লণ্ডভণ্ড করে দেয় বাংলা (West Bengal)। মাথার উপরের ছাদ হারিয়েছিল কয়েক হাজার পরিবার। তাঁদের ঠাই হয়েছিল ত্রাণ শিবিরে। গাছ ভেঙে পড়ে শহরের রাজপথ হয়ে গিয়েছিল স্তব্ধ। স্বাভাবিক গতি হারিয়েছিল শহর কলকাতা। গোটা জেলার অবস্থাও কার্যত হয়ে গিয়েছিল একইরকম। আমফান তাণ্ডব চালানোর পর প্রায় ৪ থেকে ৫ দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল বহু এলাকা। জনজীবন স্বাভাবিক হতে কোথাও কোথাও একমাসেরও বেশি সময় লেগেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘূর্ণিঝড়ের খবরে আঁতকে উঠেছিল আমজনতা।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের, আটক বেশ কয়েকজন