জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্ন থেকে বেরিয়ে বেহালায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেও এ ভাবে বাড়িতে পৌঁছে যেতে দেখা যায়নি মমতাকে। চলতি বছরেই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই সময়ও তাঁকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন মমতা।
আজ সৌরভের ৪৯ তম জন্মদিন ‘দাদা’-র। যে দিনটা বাংলা এবং বাঙালির আবেগের। হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সৌরভকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। টুইটারে বাংলায় লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় দাদি। শুভ জন্মদিন। আপনার সামনে একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুখী বছর কামনা করি।’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সৌরভের হাতে গড়ে ওঠা বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, হরভজন সিংরা।
শুধু তাই নয়, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সকাল থেকেই সৌরভের বাড়ির সামনে অনুরাগীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। হাতে ছিল ব্যানার, পোস্টার। তাঁদের নিরাশ করেননি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট। তাঁদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সৌরভ বলেন, ‘(জন্মদিনে) কোনও পরিকল্পনা নেই। আমি একদম ফিট। আরও এক বছর কেটে গেল। এটাই সবার ক্ষেত্রে এক।’
আরও পড়ুন: সবুজ সাথীর সাইকেল বিলিতে তৎপরতা, কোন শ্রেনির পড়ুয়ারা কবে পাবে সাইকেল?
তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ সৌরভের বেহালার বাড়িতে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌরভের হাতে ফুল তুলে দেন। দু’জনের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বরাবরই ভালো। চলতি বছরের শুরুতে সৌরভ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে গিয়েছিলেন মমতা। প্রতি বছর ব্যক্তিগতভাবে সৌরভকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তাঁকে একটি শাড়ি উপহার দিয়েছেন সৌরভ। মহারাজের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় সেই শাড়িটি নিজের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য কিনে এনেছিলেন।
যদিও সৌরভের বাড়িতে মমতা যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, গত বিধানসভা ভোটে সৌরভ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। সৌরভকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হবেও বলে দাবি করা হয়। সৌরভ অবশ্য সে বিষয়ে মুখ খোলেননি। বিজেপিও সরকারিভাবে কিছু জানায়নি। সেই পরিস্থিতিতে সৌরভের বাড়িতে মমতা আসায় নয়া রাজনৈতিক মাত্রা যোগ হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সৌহার্দ্যের সম্পর্ক বারবারই নজর কেড়েছে। কখনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে গিয়েছেন সৌরভ আবার কখনও হাসপাতালে সৌরভকে দেখতে গিয়েছেন মমতা। এর পিছনে অনেকেই রাজনীতির গন্ধ পান। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক যোগ নিয়ে কখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। শুধু মমতা নয়, বিভিন্ন দলের রাজনীতিকদের সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই সৌরভ আদতে কোন রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ? আদৌ কোনও দলের সঙ্গে সৌরভের কোনও সমীকরণ আছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।