Controversy over calling Rumana a 'Muslim', Mahua removed from the post of Speaker of Parliament

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বিতর্ক ও রুমানাকে মুসলিম মহিলা’ বলে উল্লেখ করে সংসদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত মহুয়া

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির পদ থেকে সরানো হল মহুয়া দাসকে। নতুন সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের সময় বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মহুয়া। সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ছাত্রীর পরিচয় দেওয়ার সময় তাকে ‘মুসলিম মহিলা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন মহুয়া ।

করোনার জেরে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির ফলাফলের ভিত্তিতে রেজাল্ট তৈরি করা হয়। সে কারণে এবার মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি সংসদ। তবে ফল ঘোষণা করতে গিয়ে মহুয়া দেবী সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত (৫০০ তে ৪৯৯) রুমানা সুলতানাকে মুসলিম মহিলা বলে উল্লেখ করেন। সাংবাদিকরা নাম জানতে চাইলেও তিনি নাম বলেননি রুমানার।মহুয়া বলেছিলেন, ‘সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯। পরিসংখ্যান যতটা দেখেছি, তাতে এই নম্বর একজনই পেয়েছে। মুর্শিদাবাদের এক মুসলিম কন্যা।’

আরও পড়ুন: IAS Topper: রূপকথার বিয়ের ইতি! টিনা – আতহারের বিচ্ছেদে সিলমোহর আদালতের

রুমানাকে মুসলিম বলে পরিচয় দেওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন মহুয়া।  নেটমাধ্যমে তো বটেই, রাজনৈতিক মহলেও বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। বেশ কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরে মহুয়া জানান, আবেগের বসে মুখ থেকে মুসলিম শব্দটি বেরিয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষার্থীর ধর্ম পরিচয় তুলে ধরা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না। বেগম রোকেয়ার প্রসঙ্গও তোলেন সংসদ সভাপতি।

এদিকে ধর্ম বিতর্কের জেরে মহুয়া দাসকে শোকজ করা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল ইস্তফা দিতে পারেন মহুয়া দাস। সরকারই তাঁকে সরিয়ে দিল। সূত্রের খবর, ঘণ্টাখানেক আগে ইমেল মারফত চিরঞ্জীববাবুর কাছে নতুন সভাপতি পদে দায়িত্বগ্রহণের ইমেল গিয়েছে। শুধু সভাপতি নয় সেক্রেটারি কেউ সরিয়ে দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সেক্রেটারি তাপস মুখোপাধ্যায়কেও অপসারিত করা হল।

মহুয়ার অপসারণের পিছনে শুধুই যে ধর্ম বিতর্ক আছে, তা নয়। ‘রুমানা’ বিতর্ক ছাড়াও রেজাল্ট তৈরি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এবছর উচ্চমাধ্যমিকে ২০ হাজার অকৃতকার্য হয়। ফলপ্রকাশের পরদিন থেকেই পাশ করানোর দাবিতে স্কুলে স্কুলে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। সংসদকে পুনরায় ওই পড়ুয়াদের পাশ করাতে বাধ্য হয়।

আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে চ্যালেঞ্জিং টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামলেন সৃজিত! শুরু হল ‘Shabaash Mithu’-র শ্যুটিং

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest