টিকার দু’টি ডোজ হয়ে গিয়েছে। এবার বুস্টার ডোজ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন চিকিৎসকরা।
রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন দেড়শোর বেশি চিকিৎসক। এঁদের মধ্যে অনেকেই টিকার দু’টি ডোজ নিয়েছিলেন। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা সিডিসি বলছে, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর তা সর্বোচ্চ কার্যকর জায়গায় পৌঁছয়। যদিও কতদিন টিকা ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেওয়াল তুলে রাখতে সক্ষম, তা নিয়ে কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই। সিডিসি বলছে, ছ’মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকে টিকা। এখানেই আতঙ্কিত চিকিৎসকরা।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো অ্যান্টিবডি শরীরে ফুরিয়ে আসতে থাকে। উৎসবের মরশুমে ফের বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে নিয়মিত। তাই কিছুদিনের মধ্যেই চিকিৎসকসহ ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের জন্য বুস্টার ডোজের আবেদন করা হল। ভুবনেশ্বর একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তরফে একটি সমীক্ষা করে জানা গেছে, টিকার দুটি ডোজ নিয়ে মাত্র ২৩ শতাংশ ব্যক্তির শরীরে কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। ফলে যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সদস্য ডা. রাজীব পাণ্ডে জানিয়েছেন, টিকা নিলেও অনেকেই ফের করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে। এসময় বুস্টার ডোজের দ্রুত প্রয়োজন। সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের উপর চালানো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও ২৩ শতাংশ মানুষের শরীরে কোনও অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। যাঁদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবছে আইসিএমআরও।