সবার চোখ ভবানীপুরে।চতুর্থ রাউন্ড শেষে প্রায় ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে মমতা। এই রাউন্ডে তিনি পেয়েছেন ৯৯৭৪টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা পেয়েছেন ৩৮২৮ এবং সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব পেয়েছেন ২৫০টি ভোট। কড়া নিরাপত্তায় সকাল ৮টা ৫ মিনিটে তিন কেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগণনা। ভবানীপুরে ভোট গোনা হবে ২১ রাউন্ড। সামশেরগঞ্জে গণনা ২৩ রাউন্ড এবং জঙ্গিপুরে গণনা ২৬ রাউন্ড।
ভবানীপুরের মানুষ আমাদের ফেরাবেন না। বড় ব্যবধানে জিততে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০-৮০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতবেন তিনি। দাবি করেছেন ফিরহাদ হাকিম।
ইভিএম গণনার প্রথম রাউন্ড শেষে প্রায় ২৭৯৯ ভোটে এগিয়ে মমতা। এই রাউন্ডে মমতা পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮০ ভোট। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন ৮৮১ ভোট এবং সিপিএ প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস ৮৫টি ভোট। সমশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরেও পোস্টাল ব্যালটে বাজিমাত করে তৃণমূল।এখনও পর্যন্ত তিনটি আসনেই এগোচ্ছে তৃণমূল। বাড়াচ্ছে ব্যবধান।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের সংখ্যা কম হলেও এটি বেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । সরকারি কর্মীদের আনুগত্য এর থেকেই বোঝা যায়। এর আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছিল যে কেন্দ্রের শাসকদলের পক্ষে ভোট দেন সরকারি কর্মীরা। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনেও দেখা যায় উল্টো ট্রেন্ড। উপনির্বাচনেও বজায় থাকল সেই প্রবণতা। বাংলা সহ গোটা দেশের নজর টিকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ভবানীপুরে। এই কেন্দ্রেই দ্বিতীয়বার ‘পরীক্ষা’য় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরীক্ষায় সরকারি কর্মীদের থেকে পাস মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ মমতা।
সমশেরগঞ্জে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। একই চিত্র দেখা যায় জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। সেখানে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন।