‘আমফানের থেকেও বড় ঝড় হতে চলেছে’, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ নিয়ে সাবধানবাণী মুখ্যমন্ত্রীর

ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলয়া দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর, ৮৯০০৭৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৪
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আতঙ্কের নাম এখন একটাই – ইয়াস (Yaas)। এই মুহূর্তে তার নামেই তটস্থ রাজ্যবাসী। এমনকী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) এ নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন। সোমবার ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ”আমফানের থেকেও বড় ঝড় হতে চলেছে। ৭২ ঘণ্টা থাকবে দুর্যোগ। কিন্তু এ নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হবেনও না, আতঙ্ক ছড়াবেন না।” আসন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাও বিস্তারিত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন তিনি জানান, মূলত ২০ জেলায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে এই ‘সিভিয়ার’ সাইক্লোনের। মমতা জানিয়েছেন, নবান্ন এবং উপান্ন থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা সারাক্ষণ নজরদারি চলবে। ইতিমধ্যেই খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে স্পেশাল টিম। ১৫ দিন আগে থেকে বার বার বৈঠক হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইতিমধ্যে উপকূল এলাকা থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একাধিক ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা। তবে ত্রাণ শিবিরগুলিতে করোনা বিধি মানার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সেখানে সবাইকে মাস্ক পড়ার নির্দেশ দেন। মৎস্যজীবীদের বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আমফানের সময় নিষেধ সত্ত্বেও সমুদ্রে যাওয়ায় মৎস্যজীবীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বলে উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘সমুদ্রে যাওয়া চলবে না কোনও অবস্থাতেই। ব্লক স্তরে প্রচার চালাতে হবে। স্থানীয় রেডিও চ্যানেলগুলির মাধ্যমেও গ্রামের মানুষের কাছে সরকারের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’

আরও পড়ুন: আমি সুস্থ, আমাকে জেলে পাঠানো হোক, হাসপাতালের জানলা দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন শোভনের

সতর্কতায় কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন মমতা:

১. উদ্ধারের কাজে ৫১টি টিম প্রস্তুত করা হয়েছে।

২. ১০০০ পাওয়ার রেস্টোরেশন টিম রাখা হয়েছে।

৩. ৪৫০ টেলিকম রেস্টোরেশন টিম রাখা হয়েছে।

৪. হাসপাতালগুলিতে পাওয়ার ব্যাক আপ প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।

৫. জ্বর, ডায়েরিয়া, সাপে কাটার ওষুধ তৈরি রয়েছে।

৬. ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূল থেকে সেখানে মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা নবান্নের পাশে উপান্নে খোলা কন্ট্রোলরুমে নিজে থেকে পরিস্থিতির দিকে  নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎ ও পানীয় জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার সবরকম চেষ্টা চলছে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রগুলিতে।  এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ”এই দুর্যোগের সময় সহযোগিতা করুন।  এই সময়ে সব কাজ করতে একটু সময় লাগবে। সেই সময়টুকু ধৈর্য ধরতে হবে। অযথা নেগেটিভ প্রচার করবেন না।” তবে সবমিলিয়ে, ‘ইয়াস’ নিয়ে উদ্বেগ কাটিয়েও তার মোকাবিলা করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা রয়েছে রাজ্য সরকারের।

*** ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় নবান্নের তরফে প্রকাশ করা হল হেল্পলাইন নম্বর। ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে যে কোনও বিপদে পড়লে ফোন করুন এই নম্বরগুলিতে ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬। একইসঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলয়া দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর, ৮৯০০৭৯৩৫০৩ এবং ৮৯০০৭৯৩৫০৪

আরও পড়ুন: কাছা খুলে বিজেপিতে স্বাগত করা হয়েছিল….তৃণমূলে ফেরার হিড়িক নিয়ে দলকেই খোঁচা তথাগতর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest