‘পার্টির মধ্যে এখন বাঁধাকপির দশা, পাতা ছাড়াতে ছাড়াতে কপি খুঁজে পাওয়া যাবে না’: দিলীপ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

মন ভালো নেই দিলীপের। থাকার কথাও নয়।  পদ্মের মুখ হিসাবে তাঁর কথা ভাবছেন না কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা। নতুন মুখ খুঁজছেন তাঁরা। যার ফেসভ্যালু থাকতে হবে। বাঙালিদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করলে দলে ভাঙন ধরবে না। এমন লোক চাইছেন অমিত শাহরা। তাই মন তেতো হয়ে রয়েছে দিলীপের। মনে করছেন অনেকেই।

শনিবার হাওড়ায় ৩ মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করেছেন পিকে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি আরও একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন : ‘আমাদের গর্ব’, কমলা হ্যারিসের জয়ে চোখে জল তামিলনাড়ুর এই গ্রামের বাসিন্দাদের

তিনি বলেন, “দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া টিএমসি পার্টি হয় না। টিএমসি পার্টি বলে কিছু নেই, কিছু গোষ্ঠী আছে। আর দুর্নীতির বাইরে কোনও নেতা নেই। যেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে, চারিদিকে হৈ চৈ শুরু হয়ে গিয়েছে। গরু পাচার ও কয়লা পাচার এই দুই অবৈধ ব্যবসা চলে আমাদের রাজ্যে। আর তার সঙ্গে বেশিরভাগ সরকারি পার্টির নেতা-ই যুক্ত আছেন। আর সেখানে যখন হাত পড়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত হাহাকার করছে। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে এরা কাদের নিয়ে পার্টি করছে।”

দিলীপ ঘোষ বলেন, “অমিত শাহ জনসভা করতে আসেননি। দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে এসেছিলেন। তাঁকে দেখতে হাজার হাজার লোক বেরিয়ে এসেছিল। তাতেই ভিড় হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল যদি পাল্টা সভা করে থাকে তো খুব ভালো। আমরাও পাল্টা সভা করব। সভার পর সভা হবে। নির্বাচন আসছে সভা তো হবেই।”

তৃণমূলে শুভেন্দু অনুগামীদের দলে কোণঠাসা করে দেওয়া হচ্ছে, এদিন এই প্রসঙ্গেও কটাক্ষের সুরে তীব্র সমালোচনা করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। বলেন, “পার্টির মধ্যে এখন বাঁধাকপির মত অবস্থা। পাতা ছাড়াতে ছাড়াতে কপি খুঁজে পাওয়া যাবে না। পার্টিতে দুজনেই থাকবেন। বাকি  পার্টি উঠে যাবে। আরও বহু লোক আমাদের দিকে চলে আসবেন। যাঁরা পরিবর্তন চান, আমরা তাঁদের স্বপ্ন সফল করব। সত্যিকারের পরিবর্তন বিজেপি করবে।”

বুথ ফেরত সমীক্ষা যা বলছে তা যদি সত্য হয়, তাহলে বিজেপির রাজনৈতিক সাড়ে সর্বনাশ শুরু হয়ে যাবে। বিজেপির অন্যতম সমস্যা হল এখন বিজেপি নিজেই। এতো বেশি রাজ্যে তারা রয়েছে যে বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ দেবার যুক্তিতেও ধার থাকছে না। ফলে বিজেপি যে সুশাসন দিতে পারবে না, তা কমবেশি সব বাঙালিরই জানা। তারপরও যারা স্বঘোষিত বিজেপি নেতাদের তাণ্ডবে অনেকেই বিরক্ত। তারা আগে বামদের দেখে নিয়েছে। কংগ্রেস ফিরে গিয়েছে। ফলে বাকি বিজেপি। এটা বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে।

আরও পড়ুন : রবিবাসরীয় সকালে শীতের আমেজ রাজ্য জুড়ে, বর্ধমানের তাপমাত্রা নামল ১৪ ডিগ্রিতে

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest