বুধবার হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ। প্রথম ইনিংসে মোদির মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছিল এক বছরের মধ্যে। কোভিড পরিস্থিতিতে দ্বিতীয়বার সম্প্রসারণ কিছুটা পিছিয়ে যায়। কিন্তু এবার আর ‘কাজ’ ফেলে রাখলেন চান না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত কয়েকদিন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বদের সঙ্গে ম্যারাথন মিটিং করেছেন তিনি। ধরে ধরে পারফরম্যান্স বিচার করেছেন বর্তমান মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের। তারপরই একাধিক নাম ভেসে ওঠে। এ রাজ্য থেকেও নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের নামও জল্পনায় ছিলই। বাস্তবে তা হয়েওছে। সেইসঙ্গেই সুভাষ সরকার ও জন বার্লাকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা।
আরও পড়ুন: বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন শান্তনু,নিশীথ,সুভাষ ও বার্লা
কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যাঁর অন্তর্ভূক্তি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ভাবা হয়েছিল, এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া পাকা দিলীপের, কিন্তু চারজনের ঠাঁই হলেও বাংলা থেকে জায়গা পেলেন না দিলীপ ঘোষ।
চলতি বছরের নভেম্বরেই রাজ্য সভাপতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে দিলীপ ঘোষের। দুবার রাজ্য সভাপতি পদে থাকার পর বিজেপির দলীয় নীতি অনুসারেই তিনি আর রাজ্য সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না। এদিকে বাংলায় দলকে ৩ থেকে ৭৭ বিধায়কে পৌঁছে দেওয়ার নেপথ্যে দিলীপ ঘোষের যে বিরাট অবদান রয়েছে, তা মানেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বও। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার নির্বাচনী প্রচারে এসে মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুক্তকণ্ঠে তাঁর প্রশংসা করেছেন। কাজেই দিলীপ ঘোষ পুরস্কৃত হতে পারেন, এমন জল্পনা ছিলই। কিন্তু বাস্তবে তা ফলল না।
দিলীপ বিষয়টি নিয়ে নিজেও কিছুটা উদাসীন হয়ে পড়েছিলেন, তার আঁচ মিলেছিল রাজ্য সভাপতির কথাতেই। মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভার রদবদল হবে বলে শুনছি, তাও সাংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে। আমাদের কাছে দলের তরফে বা সরকারিভাবে কোনও খবর নেই, বা কে হচ্ছেন তাও জানা নেই।’ অর্থাৎ, তাঁর নাম যে ছিল না, সে খবর পৌঁছে গিয়েছিল দিলীপের কাছে।
বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর বাংলায় বিজেপি কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি করার জন্য টার্গেট বাংলা লক্ষ্য নিয়ে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচন থেকে উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করে আসছে বিজেপি। আর এবারে সেই ভালো ফলের ফলস্বরূপ উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন। একইভাবে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তোলা জন বার্লাকেও মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিল বিজেপি। আবার মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে শান্তনু ঠাকুরকেও মন্ত্রী করল বিজেপি।
আরও পড়ুন: যিনি বাংলাকে টুকরো করার কথা বলেছেন, তাকেই মন্ত্রী করা হল- বারলা প্রসঙ্গে কটাক্ষ মহুয়া