ধর্মের কল যুক্তিতে নড়ে না। তা নড়ে বাতাসে। কখন যে সেই বাতাসের ঘায়ে শেষ হয়ে যাবে কেউ জানে না।সুদীপ্ত সেনের ক্ষেত্রে একথা ষোলো আনা খাট।একটা সময়ে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর হাত দিয়ে। কিন্তু তাঁর কাছে নেই হাজার তিরিশেক টাকাও! দুই স্ত্রী-সন্তানদের সংসারে টাকা ফুরোয় চাল-নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসনেই। এখন কেমন আছেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন (Sudipta Sen)? তাঁর আইনজীবী সমীর দাসের দাবিতে চাঞ্চল্য কর তথ্য।
আরও পড়ুন: হ্যাকারদের জালে রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়, অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করছে টাকা
সিবিআইয়ের মোট চারটি মামলার মধ্যে তিনটিতে আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন সুদীপ্ত সেন। সারদাকর্তার আইনজীবী সমীর দাস বলেন, “আট বছর ধরে হাজতবাস করছেন সুদীপ্ত সেন। একাধিক মামলাতে জামিনও পেয়েছেন। কিন্তু আদালতের শর্ত অনুযায়ী ব্যক্তিগত বন্ডে ৩০ হাজার টাকা জমা করতে পারেননি তিনি। তাই আজও হাজতেই রয়েছেন সুদীপ্ত সেন।”
আইনজীবী সমীরবাবু আরও জানান, বর্তমানের সুদীপ্ত সেনের দুই স্ত্রী ও সন্তানরাও চরম আর্থিক অনটনে রয়েছে। মেয়ে ও ছেলে ছোট কাজ করে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন। সুদীপ্ত সেনের আত্মীয়রাও এখন আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন নি। কোনও তরফেই কোনও সাহায্য পান না তিনি।
তবে প্রশ্ন আদালতে এত বছর ধরে কীভাবে মামলা চালাচ্ছেন সুদীপ্ত সেন?
উত্তরে সুদীপ্ত সেনের আইনজীবী সমীর দাসের বক্তব্য, “আমার সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের পরিচয় ১৯৮০। সম্পর্কটা অন্যরকম। ওঁর সব মামলাই আমি দেখি।”
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সারদা কাণ্ডে বাংলায় সিবিআইয়ের দায়ের করা দুটি মামলা আলিপুরের অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় আদালতে বিচারাধীন। একটি মামলা বিধাননগর আদালতে, ব্যাঙ্কশাল মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চলছে চতুর্থ মামলা। সুদীপ্ত সেনের আইনজীবীর দাবি, প্রথম তিনটি মামলায় তাঁর জামিন হয়েছে। কিন্তু বছর কেটে গেলেও ব্যক্তিগত বন্ডের টাকা আদালতে দিতে পারেননি সুদীপ্ত সেন। তিনি বর্তমানে নিঃস্ব। আর তাতেই হাজত থেকে বেরোতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: Venice Film Festival: শহর তিলোত্তমার পুরনো স্মৃতি ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন ক্যালকাটা’