dumdum unnatural death of young lady at nagerbazar area

Dumdum: বিয়ের দু’সপ্তাহ পরই বাগুইআটিতে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, স্থানীয়দের বক্তব্যে পরতে পরতে রহস্য

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গত মাসের শেষ সপ্তাহেই স্বামীর হাত ধরে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিতাস নন্দী। কিন্তু তা যে এতটাই ক্ষণস্থায়ী, তা হয়তো কল্পনাও করেননি তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে ফ্ল্যাটের নিচ থেকে উদ্ধার হল তিতাসের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য। আটক করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে।

জানা গিয়েছে, নিহত ওই তরুণীর নাম তিতাস নন্দী (২৮)। স্বামীর নাম কৌস্তুভ সরকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিতাস। এই সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়েও নাকি প্রশ্ন তোলেন কৌস্তুভ, দাবি এলাকার লোকজনের। এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন তাঁর স্বামী। এদিকে তিতাসের মাসির দাবি, তাঁদের মেয়েকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন কৌস্তুভ। সমস্তটাই রহস্যের জালে মোড়া। তবে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে এই ঘটনা বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

জানা গিয়েছে, বাগুইআটির আমবাগান এলাকার একটি বহুতলের একতলায় স্বামী কৌস্তব সরকারের সঙ্গে থাকতেন ২৮ বছরের তিতাস। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিতাস। তাঁর স্বামী ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রতিবেশীদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। শুক্রবার গভীর রাতে ফ্ল্যাটের নিচে তিতাসের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় নাগেরবাজার থানার (Nager Bazar PS) পুলিশকে। ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আরজি হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা আন্দাজ করা যাবে।

আরও পড়ুন: SSC scam: ‘আমার নয়, আমার নয়, আমার নয়!’ টাকা কার প্রশ্নে মুখ খুললেন পার্থ

তিতাসের মাসি রঞ্জিতা চৌধুরী বলেন, “শুক্রবার সকাল থেকে ঝগড়া, অশান্তি, মারামারি চলছিল। আমার দিদির মেয়ে খুবই একরোখা। ওর ব্যাপারে কেউ থাকুক সেটা ও চায় না। সন্ধ্যাবেলা সাড়ে ৮টা ৯টা নাগাদ আমি ছেলেকে পড়িয়ে নিয়ে ফিরে শুনি চেঁচামেচি চলছেই। সাড়ে ৯টা, ১০টার সময় কেউ একজন ছাদে গেছে বুঝলামও। কিছুক্ষণের মধ্যেই কৌস্তুভ সরকার, মানে যার সঙ্গে ওর রেজিস্ট্রি হয়েছে, ছেলেটা ওকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। আমরা নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ জানাই। কৌস্তুভ এখন লকআপে।”

স্থানীয় এক বাসিন্দা শুভঙ্কর দাসের কথা, “প্রায়ই অশান্তি হত ওদের। কালকেও নাকি দুপুরে পুলিশ এসেছে বলে শুনলাম। যদিও আমি দেখিনি। তারপর রাতে তো দেখলাম এই অবস্থা। আমরা জানি না ছেলেটা আসলে কী করত। কাউকে বলেছে ডাক্তার, কাউকে বলেছে সেক্টর ফাইভে চাকরি করত। কী যে করত সেটা একমাত্র ওই ছেলে আর ওই মেয়েই জানত। আমরা বাইরের লোকজন এটা জানতাম না। এক মাস হল এখানে আছেন। ওদের ঘরের ব্যাপার কী করে কী হল জানি না। তবে মেয়েটার মাসি যখন বলছে, মেয়েটা অন্তঃসত্ত্বা, ছেলেটা বলছে এটা ওর বাচ্চা নয়। এখানে দাঁড়িয়ে বলল। আমি একা না, সকলে শুনেছে।”

আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: যদি রাজনীতিতে না আসতাম…’, আক্ষেপেই জেলের প্রথম রাত কাটল পার্থর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest