কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর পর রাজ্যের মহিলাদের জন্য আরও একটি প্রকল্প চালু করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নাম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। এই প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে আবেদন জমা পড়েছে লাখ লাখ। জালিয়াতি রুখতে ইউনিক নম্বর চালু করা হয়েছে। তার পরেও সেই আবেদন নিয়ে জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসছে। এবার তাই আরও তৎপর হল রাজ্য প্রশাসন। জারি করল কড়া বিধি।
সোমবার নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় কোনও পঞ্চায়েত সদস্য বা ক্লাব কোনওভাবে যুক্ত থাকতে পারবেন না। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের আবেদন ভরার জন্য প্রয়োজনে ‘কন্যাশ্রী’ সেল্ফ হেল্প গ্রুপ অথবা কলেজ পড়ুয়াদের কাজে লাগানোর পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। গোটা বিষয়টি দেখবেন জেলাশাসক। এমনকী, আশা, অঙ্গনওয়াড়ির মতো স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে কাজে লাগানোর জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Amazon-এর রয়েছে এই ‘সিক্রেট’ ওয়েবসাইট, যেখানে অর্ধেকেরও কম দামে জিনিস পেতে পারেন আপনি
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে একাধিক ভুয়ো আবেদন জমা পড়ছে। অনেকে জাল শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। সোমবার নবান্নে আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক ছিল। সেখানেই এই অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। কারা এমন কাজ করছেন, কোথায় ভুয়ো শংসাপত্র জমা পড়েছে, তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে নির্দিষ্ট হেল্পলাইনে এই অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আগেই গ্রাহকদের সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা যেন কোনওভাবেই কারও কথায় প্রতারিত না হন। কেবলমাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের শিবির থেকেই ফর্ম পাওয়া যাবে, অন্য কোনও ফর্ম গ্রহণ করা হবে না। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের কড়া নজর রাখার জন্য ফের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
আরও পড়ুন: জলে ভাসছে শতাধিক আধার কার্ড! চোখ কপালে সাফাই কর্মীদের