Site icon The News Nest

‘বিজেপিকে ঝটকা দিতে পারেন আপনি’, ফের কৃষক নেতার ফোন মমতাকে

WhatsApp Image 2020 12 23 at 7.33.52 PM

কৃষক আন্দোলনকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি।দলীয় প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছিলেন। বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে ফের একবার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বুধবার দুপুরে দিল্লি–হরিয়ানা সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূলের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানেই ফোনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। সবরকম ভাবে পাশে থাকার বার্তা দেন।

আরও পড়ুন: দলবিরোধী মন্তব্যের জেরে সায়ন্তনের পর বিজেপি শো-কজ করল অগ্নিমিত্রাকেও

মমতার নির্দেশেই এ দিন সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের আন্দোলনস্থলে হাজির হন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, শতাব্দী রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মণ্ডল এবং মহম্মদ নাদিমুল হক। সেখানে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের ছোট ছোট বেশ কয়েক দলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মমতা। জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কৃষক-বিরোধী’ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সমর্থন করছেন তিনি।

মমতার সঙ্গে কৃষকদের কথোপকথনের যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে শতাব্দীর উপস্থিতিতে ফোনের স্পিকার অন করে মমতার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় এক প্রবীণ কৃষককে।

মমতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম এবং হিন্দু, মুসলিম, জৈন, বৌদ্ধ, সব ধর্মের মানুষকে আমাদের এখানে আসার আর্জি জানাচ্ছি। আপনারা এখানে আসুন, আমাদের সঙ্গে কথা বলুন, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করুন। একজোট হয়ে মোদী সরকারকে ঝুঁকতে বাধ্য করব আমরা। কারণ মোদী সরকার জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এই সরকার শুধুমাত্র দু’জনের জন্যই কাজ করে, অম্বানী এবং আদানি।’’

ওই কৃষক বলেন, ‘‘বাংলায় ভাল কাজ করছেন আপনি। আমরা আপনার প্রশংসা করি। কারণ আগে একাধিক বার বিজেপিকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন আপনি। এখনও দিচ্ছেন। আপনি আমাদের দিদি। আপনি যেমন যে ভাবে কাজ করে চলেছেন, আমরা চাই দেশের সব বোনেরাও এ ভাবেই এগিয়ে আসুক। আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ধন্যবাদ।’’

গত ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘নবান্নের ধান ছুঁয়ে শপথ করছি, আমরা কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-নেতাই ভুলিনি। আমি ভারতও ভুলিনি। আমি কৃষিজীবী মানুষকে ভুলিনি।’’

বিজেপির মোকাবিলা করার মত হিম্মত মমতার মত করে কেউ দেখাতে পারেননি। বহুবার তার দলকে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে বিপদে ফেলার চেষ্টা চলেছে। কিন্তু তিনি অবিচল। বিদ্বেষের বিষবাষ্প বাংলার বাতাসেও ছড়ানো হয়েছে। কিন্তু তা সফল হয়নি। মমতা সম্প্রীতি চান। কেউ কেউ বলেন মমতা তোষণের রাজনীতি করেন। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন। তবে একথা অস্বীকারের উপায় নেই যে, মমতা সম্প্রীতির রাজনীতি করেন। বিদ্বেষের নয়। এমনটাই মনে করেন অরাজনৈতিক লোকজন।

আরও পড়ুন: Petrol Diesel Price: বিশ্ব বাজারে দাম কমছে, তবুও ভারতে সেই চড়া দামেই পেট্রল-ডিজেল

 

Exit mobile version