শুক্রবার তাঁর নাম দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায়। সুতরাং তিনি এখন আর পদে থাকতে পারবেন না। আদর্শ আচরণবিধির মধ্যে তিনি পড়ে যাবেন। তাই শনিবার কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ফিরহাদ হাকিম। এমনকী নগরোন্নয়ন দফতরে গিয়েও পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। একইসঙ্গে পদত্যাগ করলেন প্রশাসকমণ্ডলীর আরও ১১ সদস্য।
তারপরেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। রবিবার সকালে নিজের এলাকায় প্রচারে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়েই এদিন চেতলায় বাড়ি-বাড়ি ঘুরে প্রচার সারলেন ফিরহাদ। সৌজন্য বিনিময় থেকে শুরু করে চলল রাজনৈতিক বাক্যালাপও। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ফিরহাদ।
বিজেপি ছেড়ে এখন তৃণমূলে বাবুল। এর আগে উপনির্বাচনের প্রচারে তাঁকে সেভাবে দেখা না গেলেও কলকাতা পুরসভার ভোটে পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের এই তারকা রাজনীতিবিদ। এদিন কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অসীম বসুর সমর্থনে প্রচারে গিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এলগিন রোডে এদিন দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে।
কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনে মেয়র হবেন কে? এমন প্রশ্ন রেখেই শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে শাসক তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা। কলকাতার ১৪৪ ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত হওয়ার পরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে প্রার্থী তালিকার খুঁটিনাটি নিয়ে তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা জানান এ বার মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে কোনও মুখ সামনে না রেখেই লড়াইয়ে নামছে তৃণমূল। পার্থ বলেন, ‘‘ভোটের পরে জয়ী পুর প্রতিনিধিরা নেতা নির্বাচন করবেন।’’ আর তা জানার পরে বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘‘আমি দলের অনুগত সৈনিক। নির্বাচনের পরে দলের পক্ষ থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হবে সেই মতো চলব।’’