দিনে দুপুরে ফের গুলি চলল হরিদেবপুরে (Haridebpur)। অভিযোগ, রবিবার দুপুরে কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এসে স্থানীয় মুচিপাড়া বাজারের ভিতর ঢুকে প্রথমে দোকানদারদের মারধর করে। তারপর দু’ রাউন্ড গুলি চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।
রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ গুলি চলে বেহালার মুচিপাড়া মোড়ের কাছে। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। পুরসভার ভোটে টিকিট বণ্টন নিয়ে শাসকদলের ২ পক্ষের মধ্যে ঝামেলা থেকেই ওই ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী এক তৃণমূল কর্মী জানান, ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট বণ্টন ঘিরে অর্ণবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বচসা চলছিল এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মীর। রবিবার বাইকে চেপে এসে অর্ণব বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান। অর্ণব ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও টিকিট নিয়ে ঝামেলা করছেন বলেও জানান অন্যান্যরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ার কারণে কেউ হতাহত হননি। তবে এই ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: ‘৩৫৬ ধারা বাগবাজারের রসগোল্লা নয় যে চাইলেই মিলবে’, শুভেন্দুকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের
তবে ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। মুচিবাজার সংলগ্ন এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ির সামনে গুলি চলে বলে অভিযোগ। সেই সময় স্থানীয়রা বিষয়টি বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে জানান। পুলিশকে জানানো হয়। এরপর সেই সময়ের মতো ঝামেলা মিটে যায় বলে স্থানীয়দের দাবি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশও মনে করছে, তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের ফলেই ওই গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি কার্তুজের খোল। তবে ওই ঘটনায় কেউ গুলিবিদ্ধ হননি বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশ এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। যে ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়েছে অভিযুক্তদের তাঁদের সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত ঝামেলা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে নজরে রাখা হচ্ছে রাজনৈতিক বিবাদের অভিযোগও। যদিও তৃণমূলের একাংশের দাবি, যারা মারধর করেছে তারা দুষ্কৃতী, এটাই তাদের পরিচয়। তাদের রাজনৈতিক কোনও পরিচয় নেই। তবে সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পকেট ভেন্টিলেটর! কলকাতার বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার