রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Buddhadeb Bhattacharya) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালের মেডিক্যাল বুলেটিন অনুযায়ী, তাঁর ঝিমুনি ভাব কেটেছে। সামান্য কথাও বলছেন তিনি। খাবারও খেয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশ। প্রতি মিনিটে চার লিটার করে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে। তাঁর হৃদস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৫৪। নলের সাহায্য ছাড়াই খাওয়াদাওয়া করতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রক্ত জমাট যাতে বাঁধতে না পারে সেই চিকিৎসাও চলছে। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় রেমডেসিভিরও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আরও পড়ুন : গঙ্গার জল বাড়বে ১৮ ফুট উচ্চতায়, ভাসবে কলকাতা! বিকাল ৪টে পর্যন্ত তিলোত্তমার জন্য বিপর্যয়ের সতর্কতা
উল্লেখ্য, গত ১৮ মে করোনায় আক্রান্ত হন সস্ত্রীক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বর্ষীয়ান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সিওপিডি-র সমস্যাও রয়েছে। তবে হাসপাতালে ভরতির ক্ষেত্রে অনীহা ছিল তাঁর। তাই স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যকে (Mira Bhattacharya) হাসপাতালে ভরতি করা হলেও বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবারই বাড়ি ফেরেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী। মঙ্গলবারই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। অক্সিজেনের মাত্রা ৮০-র কাছাকাছি চলে যায় তাঁর। দুর্যোগের মধ্যে আর বাড়িতে রেখে তাঁর চিকিৎসার ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা।
তাই হাসপাতালে ভরতি করেই তাঁর চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো হাসপাতালে ভরতি করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। ৬ জন চিকিৎসকের একটি দল চিকিৎসা করছে তাঁর। এদিকে, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে হাসপাতালে ভরতি করার কারণে মঙ্গলবার বাড়িতে একাই ছিলেন স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য। আগে কোনওদিনও বাড়িতে একা থাকেননি তিনি। তাই প্যানিক অ্যাটাক হয় তাঁর। এরপর ওইদিন সন্ধের দিকে মীরাদেবীকেও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। বর্তমানে একই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন বুদ্ধবাবু এবং মীরা ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিউ ব্যারাকপুরে, ভস্মীভূত ওষুধের দোকান এবং গেঞ্জি কারখানা