Site icon The News Nest

‘‌কলকাতা হাইকোর্টে ভূত রয়েছে’, জানালেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়‌

ABHIJIT GANGOPADHYA

কলকাতার বহু হেরিটেজ বাড়ি নিয়ে এমন কথা শোনা যায়। তবে কলকাতা হাইকোর্টের ভূতের গল্পও অনেকেরই জানা। এবার খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসে শোনালেন তাঁর কর্মস্থলে ভূতের কাহিনী।

মঙ্গলবার ২০১৪ সালের টেট–প্রার্থীদের মামলার শুনানির শেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের আইনজীবীকে বলেন, ‘‌সুপ্রিম কোর্ট যে ২৬৯ জন টেট–প্রার্থীকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, তাঁদের মামলাগুলি বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত শোনা যেতে পারে।’‌ এই কথা শুনে উপস্থিত একজন আইনজীবী বলেন, ‘‌সন্ধ্যের পরে মামলা চলবে!

কলকাতা হাইকোর্টের রাত মানেই তো ভয়ানক। অতৃপ্ত আত্মার আনাগোনা।’‌ তখন খোদ বিচারপতি বলেন, ‘‌এই কথা অবশ্য পুরোপুরি মিথ্যা নয়। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের ১১ নম্বর এজলাসের পাশে প্যাঁচানো সিঁড়িতে অশরীরী আত্মার উপস্থিতি রয়েছে। বহুদিনের পুরনো সে কাহিনী। এই সিঁড়ির ভূতুড়ে গল্পের কথা আমিও জানি।’‌

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, কয়েক বছর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন রাতে কলকাতা হাইকোর্টের একজন পুলিশকর্মী বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এসে জানান, প্যাঁচানো সিঁড়িটি দিয়ে নামার সময়ে তাঁকে কেউ পিছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে। ওই পুলিশকর্মী অশরীরী দৃশ্যও দেখেছেন। তখন থেকেই ওই সিঁড়ির পথ রাত হলেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী সেখানে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়।

বিচারপতির মুখ থেকে এই ঘটনার কথা শোনার পর কলকাতার ভূতের গল্প হাইকোর্টের অলিন্দে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এতদিন ভূতের কাহিনী শুনিয়েছেন আদালতের কর্মী থেকে আইনজীবীরা। এবার সে কথা শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। যার রায় রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে।

Exit mobile version