চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তবে মঙ্গলবার হাসপাতালে প্রাতঃরাশ করেছেন তিনি, এমনটাই জানাল এসএসকেএম। খুলে দেওয়া হয়েছে বাইপ্যাপ। তবে এখনও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন মন্ত্রী।
রবিবার বিকেলে সুব্রত মুখোপাধ্যায় অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির জন্য ভরতি হয়েছিলেন এসএসকেএমে। রাতের দিকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা যায়, হাইপার টেনশনের ফলেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় চিকিৎসা। তাঁর জন্য তৈরি হয় মেডিক্যাল বোর্ড। তাঁরাই মন্ত্রীকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
সোমবার রাতে নতুন করে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। ভালই ঘুম হয়েছে তাঁর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠক করবে। সেই বৈঠকে মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি স্থির করা হবে। এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডে কার্ডিওলজির সরোজ মণ্ডল ছাড়াও রয়েছেন সিসিইউ স্পেশালিস্ট অসীম কুণ্ডু, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সৌমিত্র ঘোষ, রেসপিরেটরি মেডিসিন স্পেশালিস্ট সোমনাথ কুণ্ডু, এন্ডোক্রিনোলজি স্পেশালিস্ট সুজয় ঘোষ এবং নেফ্রোলজি স্পেশালিস্ট অর্পিতা রায় চৌধুরী।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও তৈরি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই বোর্ডের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। ছয় সদস্যর মেডিক্যাল বোর্ডে কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান সরোজ মণ্ডল রয়েছেন। সঙ্গে সিসিইউ স্পেশালিস্ট, মেডিসিন, রেসপিরেটরি মেডিসিন, এন্ডোক্রিনোলজি, নেফ্রোলজির বিশেষজ্ঞ নিয়ে বোর্ড। সকলেই সকালে দেখেছেন। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হয়েছে। বিকেলেও তাঁরা প্রত্যেকেই রিভিউ করেন। সেই মতোই ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা চলছে।