প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে উঠল হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ, স্বস্তিতে রাজ্য সরকার

২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটের (Primary TET) নিয়োগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

ভোটের মুখে স্বস্তিতে রাজ্য সরকার। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আপাতত কোনও বাধা রইল না। আদালত জানিয়েছে, আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া চলতে পারে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। মেধা তালিকায় অস্বচ্ছতা থাকায় এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তবে ডিভিশন বেঞ্চ সে যুক্তিতে মান্যতা দেয়নি।যার ফলে আপাতত প্রাইমারি টেটের নিয়োগে আর কোনও বাধা রইল না। তবে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে যথাযথ মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। এ দিন হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।

স্টেট বোর্ড অফিস, কাউন্সিল অফিস ও ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর অফিসে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা টাঙানোর কথা বলা হয়েছে। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রার্থীদের কথা ভেবেই। যাতে তাঁরা নিজেদের নাম ও পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের সবিস্তার তথ্য সেখানে দেখতে পান।

আরও পড়ুন: ‘না রে না টুম্পা ব্রিগেড যাবে না,’ বামেদের প্যারোডির পাল্টা জবাব তৃণমূলের

গত ১১ ডিসেম্বর ১৬ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ২৩ ডিসেম্বরে জারি হয় বিজ্ঞপ্তি। গত ১০ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা। এমনকি নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এরইমধ্যে নিয়োগ তালিকা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। আদালতে যান তাঁরা।

এরপরই গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ এই নিয়োগে স্থগিতাদেশের কথা জানায়। কিন্তু সে স্থগিতাদেশ এদিন তুলে দিল আদালত। এর ফলে চাকরিপ্রার্থীরা যেমন স্বস্তিতে। একইভাবে স্বস্তিতে রাজ্য সরকারও। ভোটের মুখে এই নিয়োগ-ইস্যুকে সামনে রেখে শাসকদলকে বারবার আক্রমণ শানাচ্ছে বিরোধীরা। এ দিনের নির্দেশ তৃণমূল সরকারের স্বস্তি বাড়াল। ১৫,২৮৪ জনের নিয়োগ করেছিল বোর্ড। তাতে এই মুহূর্তে আর কোনও বাধা নেই। তবে নিয়োগ বৈধ কি না সেটা আদালতে মামলার নিষ্পত্তির ওপর নির্ভর করবে।

আদালতের এই রায়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা চাকরির জন্য বিক্ষোভ দেখান, আবার তাঁরাই কোর্টের দরজা নাড়িয়ে এই প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেন। সততা, স্বচ্ছতা, মেধাকে সামনে রেখেই তালিকা হবে। শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে, নিশ্চয়ই চাকরিপ্রার্থীরা খুশি হবেন। “

আরও পড়ুন: আলিপুরে শিল্পপতি পরিবারে বধূর ‘মৃত্যু’, বাড়ির নিচে উদ্ধার দেহ, পরতে পরতে রহস্য…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest