আহিরীটোলার পর এবার মেছুয়া পট্টি। কলকাতায় (Kolkata) ফের ভাঙল পুরনো বিপজ্জনক বাড়ি। শনিবার বিকেলের এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।গুরুতর জখম হয়েছেন আরও তিন। ধ্বংসস্তূপে কয়েকজন আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাস্তা আটকে চলছে উদ্ধারকার্য। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কলকাতা পুলিশ ও দমকলবাহিনী।
শনিবার সন্ধ্যায় বসত বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনাটি ঘটে ১৫৬ রবীন্দ্র সরণীতে৷ তবে তার আগে দুপুরে শহরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়৷ বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরই চারতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাড়ির একটা অংশ জীর্ণই ছিল৷ ওই অংশটি ভেঙে পড়ে৷ ওই সময় রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি৷ বাড়ির বারান্দা তাঁর মাথায় ভেঙে পড়ে৷ এছাড়া আরও কয়েকজন চাপা পড়েন৷ স্থানীয়দের মধ্যে থেকে কেউ খবর দেয় লালবাজর কন্ট্রোল রুমে৷ পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশের একটি টিম৷ আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও৷ তার পর ওই ভাঙা বাড়ি থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়৷ একজনের আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ৷
ওই রাস্তা ধরে স্কুটি চেপে যাচ্ছিলেন বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা মহম্মদ তৌফিক। গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। বাইক আরোহী দমদমের বাসিন্দা রাজু গুপ্তারও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দুজন-সুভাষ হাজরা এবং প্রদীপ দাস।বাড়ির ভিতরে কেউ আটকে রয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, ধ্বংসস্তূপের ভিতরে ৪ জনের আটকে থাকার খবর মিলেছে।
উদ্ধারকার্য এখনও চলছে৷ বাড়ির তলায় আর কেউ চাপা পড়ে আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার অনেকক্ষণ পর ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷ এ নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা পুলিশ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি৷ যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, চতুর্থীর সন্ধ্যায় রাস্তায় ট্র্যাফিক শ্লথ থাকা ছিল৷ কিন্তু দ্রুত রাস্তা খালি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷