Site icon The News Nest

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই আছি, দিল্লি যাচ্ছি না, জানালেন শতাব্দী

mamta trinomul

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের বরফ গলল সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy) ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে। শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের দফতরে বৈঠক শেষে শতাব্দী রায় জানিয়ে দিলেন, আগামিকাল তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না। এই সময় প্রত্যেককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাশে থাকার আপিল জানিয়েছেন তিনি।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরে বৈঠক শেষে বেরিয়ে শতাব্দী জানান, “আমার যা সমস্যা হচ্ছিল সেগুলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছি। উনি বলেছেন সেগুলোর সমাধান হবে। আমি দিল্লি যাচ্ছি না।” যদিও মুকুল রায় যে তাঁকে ফোন করেছিলেন সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শতাব্দী। তবে শতাব্দী আবারও বলেছেন, দলের অন্দরে যা সমস্যা রয়েছে তা অন্দরেই মিটবে। আপাতত দিল্লি যাত্রা স্থগিত।

আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য মোটা অঙ্কের চাঁদা দিলেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ

বৈঠকের পর কুণাল ঘোষ বলেন, “উনি নিজেই বলেছেন দলে আছেন। ওনার কিছু অভিযোগ রয়েছে। বারবার বলে লাভ হয়নি তাই ক্ষোভ ছিল। আলোচনা হয়েছে, উনি নিজেই বলেছেন এই সময় একসঙ্গে লড়াই করা দরকার। সবাই একসঙ্গে রয়েছে।”

বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী এবং যুব তৃণমূলের কংগ্রেসের কংগ্রেসের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেন কুণাল ঘোষ। প্রথমে আলাদা করে শতাব্দীর সঙ্গে, এরপর অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যান কুণাল। যদিও কী কারণে শতাব্দীর মনে ক্ষোভ জন্মেছিল, সেটা খুলে বলেননি কেউই।

বৃহস্পতিবার রাতে শতাব্দীর একটি ফ্যান পেজে প্রথম ‘বেসুর’ শোনা গিয়েছিল। শুক্রবার শতাব্দী রায় নিজেই বললেন, বীরভূম জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর সমস্যার কথা। তৃণমূলের (TMC) বীরভূমের সাংসদ (MP) স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, আগামিকাল দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করার প্রসঙ্গে জিইয়ে রেখেছিলেন ধোঁয়াশা। শতাব্দী বলেছিলেন, “অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলা বা না বলাটা বিরাট ব্যাপার নয়। আমি এমপি, উনি মিনিস্টার, দেখা করতেই পারি।” তবে শেষমেষ বরফ গলেছে। তবে সেটাই যে ফাইনাল ওকথা অবশ্য বুক ঠুকে বলার সময় হয়নি। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না। সবটাই সম্ভাবনা।

আরও পড়ুন: শীতের রোদ গায়ে মেখে ঘুরে আসতে পারেন বড়ন্তি লেক ও গড়পঞ্চকোটের সবুজ পাহাড় থেকে

Exit mobile version