চতুর্থীর সকালেই বিসর্জনের প্রস্তুতি দেখতে নেমে পড়ল কলকাতা পুরসভা। শনিবার সকালে বিভিন্ন ঘাট পরিদর্শন করেন পুর প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দেবাশিস কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরসভা ও পুলিশের অফিসারেরা। কোন ঘাটের কী অবস্থা, কী কী করা যায় তা খতিয়ে দেখেন। ঘাটের কোনও অংশ ভাঙা থাকলে কয়েকদিনে মেরামতের নির্দেশও দেন।
ঘাট পরিদর্শনে গিয়ে দেবাশিস কুমার বলেন, কোভিড বিধি মেনে বিসর্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও ক্রেনের ব্যবহার করতে হবে বড় বড় ঘাটে। জোয়ারের সময় যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তাও নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, ঘাটগুলিতে রিভার ট্রাফিক পুলিশের জওয়ানরা মোতায়েন থাকবে। বিসর্জনে আসা প্রতিটি সদস্যকে মানতে হবে করোনা বিধি। মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার আবশ্যক। গঙ্গার ঘাটে একসঙ্গে তিন থেকে চারটের বেশি ঠাকুর ভেতরে প্রবেশ করানো যাবে না।
টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বাড়ায় বহু ঘাটের পাড় ভেঙেছে। এদিকে শুধুই দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জন নয়। তার আগেই সপ্তমীর সকালে গঙ্গার ঘাটেই হবে কলাবউয়ের স্নান। গঙ্গা থেকে জল তোলা। একটানা বৃষ্টিতে ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। তারপর পুজোর ছুটিতে চলে যাবেন বেশিরভাগ পুরকর্মীরাই। ফলে বিপদ ঠেকাতে আগেই ঘাট পরিষ্কারের কাজ তৎপরতার সঙ্গে সেরে ফেলতে চাইল পুরসভা। তাই দেরি না করে শহরের বিভিন্ন ঘাটে নিয়োগ করা হয়েছে পুরসভার সাফাইকর্মীদের।