In front of mother Durga,Shovon gave Sidhur to Baishakhi

মা দুর্গার সামনে বৈশাখীর সিঁথিতে সিদুঁর দিলেন শোভন, দশমীর সন্ধ্যায় নয়া ফ্রেমে বন্দি যুগল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নাটক একেবারে জমে ক্ষীর ! দশমীর সন্ধ্যায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সিঁদুর খেলার পর বৈশাখী বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে স্বীকৃতির অভাব কোনও দিন ছিল না।’’

পুজোর আগেই ‘তা তা থৈ থৈ’ গানে শোভন-বৈশাখীর নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল নেটমাধ্যমে। তখন থেকেই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তাঁরা। একটি সাক্ষাৎকারে বৈশাখী বলেছেন, ‘‘নয় নয় করে ১৩ বছর হয়ে গেল আমাদের সম্পর্কের।’’ খোলাখুলি অন্তাক্ষরী খেলতে খেলতে শোভন-বান্ধধীর স্বীকারোক্তি, ‘‘আমার চোখে তো সকলই শোভন’’

তিনি কি শোভনের প্রেমে পড়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বৈশাখীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘শোভনকে মানুষ হিসাবে আমি কদর করেছি। ওকে সম্মান করেছি। শোভন বাইরে প্রচণ্ড দাপুটে মেয়র, কিন্তু যখন বাড়ি এসে আমার সঙ্গে আলোচনা হত তখন সেটা আমার কোনওদিন মনে হয়নি যে ও আমার চেয়ে বয়সে কতটা বড়।’’

ওই সাক্ষাৎকারেই বৈশাখীকে বলেন, ‘‘শোভন আমাকে একটা কথা বলেছিল, আমি যার হাত ধরি তার হাত ছাড়ি না।’’ পাশে থেকে শোভনও বলে উঠেছিলেন, ‘‘আমি যাকে বুক দেখাই, তাঁকে পিঠ দেখাই না।’’

সপ্তমীর সন্ধ্যায় দু’জনে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ‘বুর্জ খালিফা’ দেখতে গিয়েছিলেন। তার পরই দশমীর সন্ধ্যায় তাঁদের সিঁদুর খেলার ছবি প্রকাশ্যে এল।

গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন শোভন-বৈশাখী। আর মায়ের কৈলাশে ফেরবার মুহূর্তকে আরও বিশেষ করে তুললেন দুজনে। বৈশাখী দেবী এদিন জানান, ‘স্বীকৃতির অভাব আসলে সমাজের। সমাজ এটাও দেখছে আমাদের মধ্যে সততার কোনও অভাব নেই। আমরা দুটো প্রাণহীন সম্পর্ককে টেনে না নিয়ে গিয়ে আমরা সেটাকে শেষ করে আমাদের যেখানে আনন্দ, যেখানে শান্তি সেটাকে খুঁজে নিয়েছি। হয়ত এটা দর্শকদের কাছে নতুন অনুভূতি। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করি, আপনারা স্বাভাবিক আঙ্গিকে দেখলে ভালো লাগবে’।

গত কয়েক সপ্তাহে কখনও ‘মম চিত্তে’র তালে শোভনবাবুর চারপাশে ঘুরে ঘুরে নাচতে দেখা গিয়েছে বৈশাখীদেবীকে, কখনও আবার বান্ধবীর জন্য টুং টাং করে পিয়োনো বাজাতে দেখা গিয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কখনও ভিক্টোরিয়া কখনও প্রিন্সেপ ঘাটে খুল্লমখুল্লা প্রেম করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এই নিয়ে চারিদিকে মিমের বন্যা, কম ট্রোলড হতে হয়নি তাঁদের। তবে সেইসব নেগেটিভিটি থেকে নিজের দূরে রাখছেন এই জুটি। প্রেমের জোয়ারে আপতত ভাসছেন দুজনে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest