Site icon The News Nest

রাজ্যপালের ‘অতিসক্রিয়তায়’ রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সম্ভব? জেনে নিন কী বলছেন আইনজীবীরা

ARUNAVO GHOSH

রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে কার্যত তুলোধনা করেছেন। নারদকাণ্ডে গতকাল শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেস ও রাজভবনের বাইরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি।

লিখেছেন, ‘পুলিস নীরব দর্শক। বাংলা জ্বলছে। সংবিধানকে মান্য করা হচ্ছে না। রাজ্য সরকার ব্যর্থ।’ আর এই ট্যুইট ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তৃণমূলের অভিযোগ, অতিসক্রিয় হয়ে রাজ্যপাল আসলে মোদী সরকারের হাত শক্ত করছেন। তিনি চাইছেন এরাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক। এখন প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে সত্যিই কি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া সম্ভব?

আরও পড়ুন : Covid 19: করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলে সেফ হোম গড়ার নির্দেশ রাজ্যের

অরুণাভ ঘোষ 

অরুণাভ ঘোষের মতে, ‘রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। নারদ মামলায় রাজ্যপাল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেটা আইন মেনেই করেছেন।আবার অন্যদিক থেকে এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতাও।গতকাল নিজাম প্যালেসের বাইরে বা রাজভবনের বাইরে যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো অভিপ্রেত নয়।কিন্তু, এর সাথে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তা হয়। এই সরকার কিছুদিন আগেই এতগুলো আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এই সংখ্যাটার কী হবে? তাই রাজ্যপাল চেষ্টা করলেও এখন পারবেন না।’

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য  

এনিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোনও সন্দেহ নেই, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা গতকাল যে হৈচৈ করেছে তা আইনের চোখে অপরাধ। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, তৃণমূলের কোনও কাজ নেই, তাই তারা হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপালও অতিসক্রিয়তা দেখিয়েছেন। তবে এর সাথে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার কোনও সম্পর্ক বা সম্ভাবনা নেই। সেজন্য নির্দিষ্ট আইন আছে। বিকাশের এই কথা শুনে রসিকজন বলেছেন, ‘কে যেন বলেছিলেন, অমিতাভ লালা, কলকাতা ছেড়ে পালা।’

আরও পড়ুন : ধেয়ে আসছে আমফানের চেয়েও ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’! চলতি সপ্তাহেই আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবনে

Exit mobile version