রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণ তৃণমূল কংগ্রেসের। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে যোগ থেকে শুরু করে জৈন হাওয়ালা কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে রাজ্যের শাসকদল। এহেন সংঘাতের আবহে সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় দাবি করেন যে মৃত্যু হয়েছে জৈন হাওয়ালা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুরেন্দ্র জৈনের।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা চিফ হুইপ সুখেন্দু শেখর রায়। সেখানে একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের অংশ বিশেষ দেখিয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, “গতকাল দিল্লির একটি বিখ্যাত একটি সংবাদপত্রে একটি মৃত ব্যক্তির ছবি বেরিয়েছে। অর্থাৎ, ২৯ জুন রাতে তিনি মারা গিয়েছেন। ওঁর নাম ছিল সুরেন্দ্র জৈন, যিনি জৈন ডায়রি এবং হাওয়ালা কেন্দ্রের মাথা। যার কাছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীর থেকে টাকা আসত। আর আমরা অভিযোগ করার পরে তিনি মারা গেলেন। এটা কাকতালীয় নাকি প্যানিক অ্যাটাক, আমরা বলতে পারব না। কিন্তু উনি মারা গেলেন, আরেকজন সাইলেন্ট মোডে চলে গেলেন। দু’টোর মধ্যে কিছু সংযোগ আছে বলে মনে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে আসরে নামল ইডি, লালবাজার থেকে তলব এফআইআরের কপি
লেখক সঞ্জয় কাপুরের লেখা ‘ব্যাড মানি ব্যাড পলিটিক্স’ শীর্ষক একটি বইয়ের কথাও উল্লেখ করা হয় এ দিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেই বইয়ের একটি পাতাতেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জগদীপ ধনখড়ের নাম এবং ৫.২৫ কোটি টাকা অঙ্ক লেখা রয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল। “এই জগদীপ ধনখড় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এক ব্যক্তি নয়তো?” আবারও প্রশ্ন তৃণমূলের।
সুখেন্দুর কথায়, “জৈন ডায়রিতে তাঁর নাম রয়েছে সেটা আমরা প্রকাশ্যে আনার পরও তিনি আর এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। যিনি প্রত্যেক মুহূর্তে টুইট করেন, যিনি প্রতি মুহূর্তে অজস্র কথা বলেন, তিনি একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছেন ব্যাপারটা নিয়ে।” তৃণমূলের তোলা অভিযোগের পর পালটা তোপ দেগেছে বিজেপিও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “রাজ্যপালকে ওঁরা সহ্য করতে পারেন না এটা আমরা জানি। কিন্তু কোনও প্রমাণ ছাড়া রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যা খুশি বলে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছেন।”
আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় BJP-র হাতে ‘আক্রান্ত’ বিরোধীরা! মানবাধিকার কমিশন কই, প্রশ্ন তৃণমূলের