Site icon The News Nest

মমতার শপথের পরই অশান্তি নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা ধনকড়ের, ‘কুরুচিপূর্ণ আচরণ’, বলল তৃণমূল

dhankhar subrata

বুধবার সকাল ১০ টা বেজে ৪৫ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এরপর তৃণমূল নেতা-সহ শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি। এরপরই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ধনকড়।

তিনি বলেন’ভারত ও বাংলা একটা কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে। এই পরিস্থিতিতেও লাগাতার ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে।’ এরপরই কটাক্ষের ভঙ্গিতে তিনি বলেন, “আশা করি নতুন সরকার কড়া হাতে দুই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণের পরই রাজ্যকে বিঁধে রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যকে মোটেও ভালভাবে নেননি রাজভবনে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা।

আরও পড়ুন : শপথ নিয়েই তৎপর মুখ্যমন্ত্রী, পরিদর্শন করলেন একাধিক হাসপাতাল

রাজ্যপালের আচরণ অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ বলেই মন্তব্য করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথা, ‘আজকে নতুন সরকার তৈরির দিনে এহেন আচরণের থেকে খারাপ আর কিছুই হতে পারে না।’ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, সৌজন্য বিরোধী আচরণ করেছেন ধনকড়। উল্লেখ্য, বাংলার রাজ্যপাল পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একাধিক ইস্যুতে রাজ্যকে তুলোধোনা করেছেন জগদীপ ধনকড়। পালটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। প্রকাশ্যে রাজ্যপালের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন মমতা। সেই পরম্পরা সমানে চলছে।

অনেকে বলছেন এই অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী দিলীপ ঘোষের মত নেতারা। ভোটার আগে তারা যে হুঙ্কার দিয়েছিল তা বাংলার মানুষ এত দ্রুত ভুলতে পারছে না। কূকথার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। ক্ষমতায় আসার আগেই তারা যে উস্কানি কর্মী সমর্থকদের দিয়েছিলেন, এটা সম্পূর্ণ তার ফল। সেদিন বিজেপি নেতারা যদি মানুষের রাজনীতি করেছেন, তাহলে হয়ত এমন হিংসা হত না। নিজেরা হিংসার উস্কানি দেবেন আবার পরে নিজেরাই নাকে কাঁদবেন, এই গেম আর বেশি দিন চলবে না। তা বুঝতে হবে বিজেপিকে। তা না হলে বারবার বাংলার মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না।

আরও পড়ুন : ভোটে হেরে ‘দলবিরোধী মন্তব্য’, তন্ময় ভট্টাচার্যকে শোকজ করল ‘শূন্য হওয়া’ সিপিএম

 

Exit mobile version