Site icon The News Nest

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিজেপি ছাড়লেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলে যোগদান কি সময়ের অপেক্ষা?

Joy Banerjee

বিজেপি ছাড়লেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ই- মেল করে দল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা (Joy Banerjee Leaves BJP)৷ দলে তাঁকে অবহেলা করা হচ্ছে এবং বিজেপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, এই অভিযোগ তুলেই দল ছেড়েছেন অভিনেতা রাজনীতিবিদ৷ দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জয়৷

২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগদান করেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের হয়ে একাধিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও জয় পাননি তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে টিকিটের সিকে ছেঁড়েনি তাঁর কপালে। এর পরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। তবে বিজেপির অন্দরের খবর, জয়বাবু জটিল অসুখে অসুস্থ। তাঁরপক্ষে নির্বাচনে লড়াই করার ধকল নেওয়া সম্ভব ছিল না।

২০১৭ সালে দলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য করা হয় জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু গত বছর তাঁকে সরিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই পদে বসানো হয়। জয়বাবুর অভিযোগ, বিজেপিতে গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না তিনি। সঙ্গে তাঁর অসুস্থতার চিকিৎসায় দলের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি তিনি।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট না জোটার পর থেকেই বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটে বিজেপির প্রত্যাশিত ফল না হওয়ায় নেতাদের আরেক দফা বেঁধেন তিনি। তখন থেকেই তিনি দল ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল শনিবার। কয়েকদিন আগে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তাও প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ এ সব বিষয় নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপি নেতা৷

জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই আমি বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলাম৷ তাঁকে জানিয়েছি যে ২০১৪ সাল থেকে জান, প্রাণ দিয়ে বিজেপি-টা কেছিলাম৷ কিন্তু এখন দলটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ যাঁরা বাংলার ভাল চায়, আমার মতো যে নেতারা বাংলার মানুষের আবেগকে বোঝে, এখানকার কয়েকজন নেতা তাঁদের দলে থাকতে দিচ্ছে না, কোনও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে না৷ হারটাকে স্বীকার করেই পরবর্তী যুদ্ধের জন্য তৈরি হতে হয়৷ তা না করে অজুহাত দিলে পরবর্তী হারের পথ খুলে যায়৷ অথচ এখানে নিজেদের দোষ না দেখে বলা হচ্ছে তৃণমূল রিগিং করে জিতেছে৷ একটা কেন্দ্রে রিগিং করে দশ, কুড়ি হাজার ভোটে জেতা যায়, এক- দেড় লাখ ভোটে জেতা সম্ভব নয়৷’

যদিও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ মানতে চাননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তাঁর পাল্টা দাবি, ‘উনি অসুস্থ ছিলেন৷ দলের রাজ্য দফতরেও আসেন না৷ আমি রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর ওনার থেকে কোনও ফোন, চিঠি পাইনি৷ ক্ষোভ থাকলে তো আগে রাজ্য নেতৃত্বকে জানাতে হবে৷’

বিজেপি-র আর এক নেতা রাহুল সিনহা অবশ্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের আংশিক অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘জয় বন্দ্যোপাধ্যায় শারীরিক, মানসিক, আর্থিক দিক দিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন৷ এ কথা ঠিক যে দল হিসেবে আমরা তাঁর পাশে থাকতে পারিনি৷ শুধু জয় বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই দলের তরফে এই সমস্যা রয়েছে৷’ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেন, ‘জয় বন্দ্যোপাধ্যায় অসুস্থ ছিলেন৷ দল নিশ্চয়ই তাঁর পাশে থাকবে৷’

Exit mobile version