Site icon The News Nest

‘বাম আমলের রোগক্লিষ্ট শহরটা সুস্থ হয়েছে তৃণমূল জমানায়’, মমতা-ফিরহাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ জয়; কটাক্ষ দিলীপের

jay

কলকাতা পৌরনিগম নির্বাচন ২০২১’র (KMC Election 2021) প্রচার চলছে জোরকদমে । আর ভোটের আগে আজ শেষ রবিবার ৷ এই রবিবাসরীয় সকালে শহরবাসীর কাছে একটু অন্যরকম প্রতিফলন নিয়ে এল একটি লেখা ৷ লেখক শুধু কলকাতা বললে ভুল হবে, বাংলার মানুষের মণিকোঠায় উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হয়ে থাকেন ৷ তিনি বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যকার জয় গোস্বামী ৷ আজ গত ৩০ বছরের বদলে যাওয়া কলকাতা নিয়ে কলম ধরেছেন এই বিশিষ্ট কবি (Joy Goswami Write a Column in Jagobangla) ৷ তাও আবার রাজ্যের শাসকদলের মুখপত্র জাগোবাংলায় ৷

উত্তর সম্পাদকীয়তে তিনি দাবি করলেন, ”কলকাতা অচিরেই ব্যাধিমুক্ত হবে।” দ্রুত আরোগ্যের পথে চলেছে ‘সিটি অফ জয়’। সেই সঙ্গে জানালেন, গত এক দশকের তৃণমূল জমানায় রোগক্লিষ্ট শহরটা নিরন্তর সেবাযত্নে অনেকটাই সুস্থ সবল হয়ে উঠেছে। গতিময়তার সঙ্গে এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য। বর্ষীয়ান কবির স্পষ্ট দাবি, কলকাতা পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার অর্থই নিরবিচ্ছিন্ন অগ্রগতি।

এই শহরের এক বিশিষ্ট নাগরিক মনে করিয়ে দিলেন ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কীভাবে এই শহরে ধীরে ধীরে বেড়েছে নাগরিক স্বাচ্ছন্দ্য়। সুউচ্চ ইমারতের সঙ্গে সবুজের সমারোহ তো আছেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাস্তাঘাটে যান চলাচলের গতিময়তা। আর সে জন্য কলকাতার পুর প্রশাসনকে পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি।
যদিও তাঁর মৃদু অনুযোগ, একটি ব্যাধির এখনও নিরাময় হয়নি। এপ্রসঙ্গে বর্ষাকালে এখনও শহরের কোনও কোনও অঞ্চলের জলমগ্ন হয়ে পড়ার প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। সেই সঙ্গে অবশ্য তাঁর আশা, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ফিরহাদ হাকিমের মহানাগরিকত্বে এই অসুখেরও শুশ্রূষা চলেছে এবং আমি নিশ্চিত তা সেরেও যাবে।” সেই সঙ্গে সদ্যপ্রয়াত শহরের প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে স্মৃতিচারণাও করেছেন জয়। পাশাপাশি পুর প্রশাসনের সাংস্কৃতিক মননের অবাধ বিস্তারেও পুর প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে তাঁর মত ব্যক্ত করেছেন তিনি।

তাঁর লেখায় মমতা সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী প্রকল্পগুলির প্রশংসাও করেছেন জয়। বর্তমান প্রশাসনের প্রশস্তির পাশাপাশি বাম সরকারের ৩৪ বছরের শাসনকালকেও কাঠগড়াতেও তুলেছেন কবি। পরিষ্কার লিখেছেন, ”৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল পূর্বতন সরকার। সমাজের সর্বস্তরে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করার নেশায় বুঁদ হয়ে দম্ভ আর আত্মতুষ্টির ফাঁদে পড়ে স্তাবকদের আনুগত্যকে সঠিক ভেবে নিয়ে ভুয়ো ভালতে গা ভাসিয়েছিলেন।… তাতে যা হওয়ার তাই হয়েছিল। জনগণ তাঁদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।”

গত দশ বছরে পুরসভার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেন তিনি। এই সব কাজের পিছনে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব রয়েছে, তাও তিনি উল্লেখ করেন। এই দশ বছর সময়কালের মধ্যে কলকাতার পুরসভার মেয়র ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সম্পর্কে একটি লাইনও লেখেনি কবি জয় গোস্বামী।

অন্যদিকে, রবিবার বেহালায় ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচারে যান দিলীপ ঘোষ ৷ সেখানে তাঁর কটাক্ষ,”প্রশংসা যে কেউ করতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অনেকের প্রশংসা করেছেন ৷ বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের লোকজন যারা ছবি আঁকতেন তাঁরা আজকে কোথায়? তাঁদের পেট ভরে গেছে। যাঁদের পেট ভরেনি তাঁরা আবার শুরু করেছেন।”

Exit mobile version