Site icon The News Nest

রাতভর চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে কলুটোলা স্ট্রিটের বিধ্বংসী আগুন, চলছে ‘কুলিং প্রসেস’

Colootola Street Fire

সারাদিন, সারারাতের চেষ্টা। তারপরে নিয়ন্ত্রণে এল কলুটোলা স্ট্রিটের ভয়াবহ আগুন (Fire)। তবে এখনও গোটা বাড়িতে রয়েছে পকেট ফায়ার। ১০ টা ইঞ্জিন এখনও কাজ করে চলছে বলে খবর দমকল সূত্রে। বিধ্বংসী আগুনে বাড়ির পিছনের অংশ ভেঙে পড়েছে। সামনে অংশটিও যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করা হচ্ছে। কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন দমকল কর্মী। এদিকে, চারতলা বাড়িটিতে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নেভাতে এত দীর্ঘ সময় লাগল, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার সকালে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।

কলকাতার আগুন-বিভীষিকার তালিকা আরও দীর্ঘ হয় সোমবার – ১১ নম্বর কলুটোলা স্ট্রিটে। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত একটি চারতলা বাড়িতে আগুন লেগে যায়। সকাল ১১ টা নাগাদ বাড়ি থেকে ধোঁয়া থেকে বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন আয়ত্তে আসা তো দূর অস্ত, ক্রমশ আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে যেতে থাকে আরও বহুতলের বেশি অংশ। একটা সময় দমকলের ২২ টি ইঞ্জিন আনা হয়। তাতেও কোনওভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। তারইমধ্যে ছিল জলের সমস্যা। সেই বাধা-বিপত্তি কাটিয়েই রাতের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু গভীর রাতে ফের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার সকালে দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। কয়েকটি জায়গায় ‘পকেট ফায়ার’ রয়ে গিয়েছে, সেগুলি নেভানোর কাজ চলছে। আরও কোনও ‘পকেট ফায়ার’ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সব জায়গায় এখনও পৌঁছাতে পারেনি দমকল বাহিনী। তাপের কারণে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরা পড়েছে। বহুতলের কয়েকটি অংশ ভেঙে পড়েছে।

তারইমধ্যে আবারও যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য ‘কুলিং প্রসেস’ চালানো হচ্ছে। অর্থাৎ বহুতলটি ঠান্ডা করা হচ্ছে।

Exit mobile version