পুরভোটের দিনই ফের একবার দলের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রার্থী করার অভিযোগ তুললেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় । পুরো বিষয়টা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তুললেন দলের এই অভিনেত্রী-সাংসদ ।
কলকাতা পুরভোটের আগে দলীয় নেতৃত্বকে নিয়ে রণকৌশল বৈঠক করে বিজেপি (BJP)। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। পুরভোটের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়। প্রথম থেকে নিহত তিস্তা বিশ্বাসের স্বামী গৌরবকে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করার পক্ষে সওয়াল করেন রূপা। তবে তাতে একমত হয়নি বিজেপি নেতৃত্ব। তাতেই সংঘাত তৈরি হয়। ‘ভাটের’ বলে কটাক্ষ করে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। তাতে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election 2021) বিজেপির তরফে তারকা প্রচারক হিসাবে ১৯ জন নেতা-নেত্রীর নামের তালিকা প্রকাশ হয়। সেই তালিকায় ছিলেন না ‘বিদ্রোহী’ রূপা। তাহলে ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীর সমর্থন করায় তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে বাদ গেলেন রূপা? শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই কি এমন সিদ্ধান্ত? দলের অন্দরে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তারই মাঝে জল্পনা আরও বাড়ান রূপা। গত বুধবার গৌরবের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে খোলা চিঠি লেখেন বিজেপি নেত্রী।
রবিবার ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডে লেক গার্ডেনসের রাজেন্দ্র শিক্ষাসদন গার্লস হাইস্কুলে ভোট দেন রূপা। ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বোমা ফাটান। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘‘কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে টাকা নিয়ে প্রার্থী করেছে। আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। আমার কাছে প্রমাণ আছে। কিছু জায়গায় তো কিনেছেই।’’
এটুকুতেই থামেননি রূপা। নাম করেই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামীদের নিন্দা করেন। বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্য সভাপতি নতুন এসেছেন, তিনি অনেক কিছুই চিনে, বুঝে উঠতে পারেননি। দিলীপবাবুর পুরো টিমটা রয়েছে। তারা যদি এখনও বদমাইশি না থামান, তা হলে তো মুশকিল।’’ দলের রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বেকার কোনও কমিটির মেম্বার হওয়ার কারণ নেই। কমিটিতে একটা কথা বলার জন্য, শিঙাড়া খাওয়ার জন্য আগ্রহী নই। ও রকম ভাবে ডেকে একটা বৈঠকে বসিয়ে রেখে, সিদ্ধান্ত চারটে লোক নেবে।’’ তিনি জানান, রাজ্য বিজেপি-র কোনও পদে আমি নেই। দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠলে যেখানে জবাব দেওয়ার সেখানেই দেব। রূপার এ হেন বিদ্রোহ নিয়ে রাজ্য বিজেপি-র কোনও নেতাই মন্তব্য করতে চাননি।