দক্ষিণ শহরতলির ঠাকুরপুকুর (Thakurpukur) এলাকার একটি বাড়িতে তিনজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। খুন নাকি আত্মহত্যা? উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই তিনটি মৃতদেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির যে মানুষগুলো সকাল হতেই ঘরের কাজে লেগে পড়ে, তাঁদের এক জনকেও দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। প্রথমে নিজেদের মধ্যেই কথা বলছিলেন। ভেবেছিলেন ঘুম থেকে ওঠেননি বোধহয় কেউ। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও, তাঁদের দেখতে না পেয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। প্রথমে নিজেরাই ডাকাডাকি করেন। সাড়া না মেলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, খবর দেন থানায়। তখনও বিপদ আঁচ করতে পারেননি তাঁরা। পুলিস গিয়ে গেট ভেঙে একই ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রী ও ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। সাতসকালেই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঠাকুরপুকুরের জোকার পাত্রপাড়া এলাকায়। মৃতদের নাম চন্দ্রব্রত মণ্ডল (৫০), মায়ারানি মণ্ডল (৪৫), সুপ্রিম মণ্ডল (২৮)।
আরও পড়ুন: ‘সংখ্যালঘু’ হিন্দুদের কথা একবারও ভাবেনি বিজেপি, তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন কাশ্মিরী পণ্ডিত ভরত
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দ্রব্রত বিধানসভার কর্মী। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা সকালেই ঘুম থেকে উঠে যেতেন। কিন্তু এদিন তাঁদের কাউকেই দেখেননি তাঁরা। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় থানায় খবর দেন। পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন স্বামী-স্ত্রী আর পাশে পিলারের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছিলেন ছেলে।
চন্দ্রব্রত এলাকায় ভাল মানুষ বলেই পরিচিত। মিশুকে চন্দ্রব্রত হাসিখুশিই থাকতেন। তাঁর স্ত্রীও একই রকম। আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ছিল পরিবারে। সেক্ষেত্রে স্বচ্ছল পরিবারের এহেন পরিণতিতে বাকরুদ্ধ গোটা পাড়া। ভাবতেই পারছেন না কী কারণে এমনটা হল।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, চন্দ্রব্রতের বাজারে অনেক ধার দেনা ছিল। তা থেকেই কোনওভাবে মানসিক অবসাদ কাজ করছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেও খুনের কোনও আভাস পাচ্ছেন না বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে কুমড়ো হাতে গান ধরলেন মদন মিত্র! বিঁধলেন ‘দলবদলুদের’,মজা নিলেন নেটিজেনরা !