বেড সংকট মেটাতে দারুণ উদ্যোগ, কোভিড হাসপাতালে বদলে গেল কলকাতার ডন বসকো স্কুল

কোভিড (COVID-19) চিকিৎসার জন্য শহরের প্রথম বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলে দেওয়া হল দিন স্কুলের গেট।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

অতিমারী, লকডাউন আর বর্তমানে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধের জেরে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল। বাড়ি বসে অনলাইনেই হচ্ছে ক্লাস। ফলে পড়ুয়াদের অভাবে খাঁ খাঁ করছে বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমগুলি। অথচ কোভিড রোগীদের রাখার ক্ষেত্রে সেফ হোমের অভাব দেখা দিচ্ছে।

হাসপাতালের বেড পেতেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে রোগীর বাড়ির সদস্যদের। ঠিক এই সময়ই মানবিক উদ্যোগটি নিয়ে ফেলল কলকাতার বিখ্যাত ডন বসকো (Don Bosco School) স্কুল। কোভিড (COVID-19) চিকিৎসার জন্য শহরের প্রথম বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খুলে দেওয়া হল এই স্কুলের গেট।

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে কমছে শক্তি, এবার রাজ্যসভাতেও ধাক্কা খেতে চলেছে বিজেপি

সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলি সেফ হোমে বদলে ফেরার জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলগুলির কাছে যে সংক্রান্ত চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছে জেলাশাসক। বিদ্যালয় স্যানিটাইজ করে তা দ্রুত সেফ হোমের যোগ্য করে তুলতে বলা হয়েছে। তবে দেশের দুর্দিনে স্কুলকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করে নিঃসন্দেহে দুর্দান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করল পার্ক সার্কাসের ডন বসকো।

বিল্ডিংয়ের একদিকের অংশকে হাসপাতাল হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে। সেখানেই ৩০টি বেডের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানেই করোনা আক্রান্তরা পাবেন কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা। স্কুলের প্রিন্সিপাল ফাদার বিকাশ মণ্ডল বলছিলেন, সপ্তাহ দুয়েক আগেই এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে।

আপাতত ৩০টি বেড নিয়ে হাসপাতাল পরিষেবার যাত্রা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে আরও বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রিন্সিপালের কথায়, “অতিমারীর (Corona Pandemic) জেরে এখন স্কুল তো বন্ধই। অথচ কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় অনেকেরই হাসপাতালে বেড পেতে সমস্যা হচ্ছে। সেই জন্যই আমরা স্কুল বিল্ডিংয়ের একটা অংশকে কোভিড কেয়ার পরিষেবায় বদলে দেওয়ার উদ্যোগ নিই। আমার মনে হয়, সংকটের দিনে এভাবেই অন্যান্য স্কুলগুলিরও এগিয়ে আসা উচিত।”

হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা অন্যতম চিকিৎসক ডা. অতনু সাহা বলেন, “এখানে প্রতিটি বেডের সঙ্গে রয়েছে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। ২৪ ঘণ্টা থাকছেন নার্স, চিকিৎসা পরিষেবা। হঠাৎ করে কোনও রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঠিক কী করণীয়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অন-সাইট চিকিৎসকও থাকবেন।” এই হাসপাতালে পরিষেবা পেতে খরচ কেমন? চিকিৎসক জানাচ্ছেন, বেডপিছু ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এর সঙ্গেই রোগী খাবার, চিকিৎসা পরিষেবা- সবই পাবেন।

আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন নিলে গরু ফ্রি, চালু করেছে এই দেশ

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest