Kolkata-Howrah-Bidhannagar TMC councilors to prepare for municipal poll in December

ডিসেম্বর মাসেই কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোটের সম্ভাবনা, প্রশাসনের অন্দরে তৎপরতা তুঙ্গে‌

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন। কিন্তু এখন প্রশ্ন বকেয়া পুরনির্বাচন কবে হবে?‌ এই নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। তবে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। কারণ এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তা প্রকাশ্যে কেউ বলতে চায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও এই ডিসেম্বর মাস নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

কলকাতা নগরনিগম-সহ ১১২টি পুরসভায় বকেয়া পুরনির্বাচন দু’টি বা তিনটি ধাপে সম্পূর্ণ করতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (EC)। সূত্রের খবর, কলকাতা ও হাওড়া, দুই নগরনিগমের ভোট প্রথম পর্যায়ে ও ১১০টি পুরসভার নির্বাচন পৃথকদিনে একাধিক পর্যায়ে হওয়ার সম্ভাবনা। নবান্নের সবুজ সংকেত পেলে পুলিশ ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে দক্ষিণবঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে এবং উত্তরবঙ্গের পুরসভাগুলিতে তৃতীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ করার পথে যাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

সূত্রের খবর, ফের করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের দাপট না বাড়লে বড়দিনের আগেই, সম্ভবত আগামী ১৯ ডিসেম্বর, রবিবার কলকাতার ১৪৪টি ও হাওড়ার ৬৬টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। দুই কর্পোরেশনের ভোটের ফলপ্রকাশ হবে ২২ ডিসেম্বর, বুধবার। অবশ্য নবগঠিত ময়নাগুড়ি ও ফালাকাটা পুরসভায় এই ১১২টি পুরসভার সঙ্গে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি নবান্ন। ভাইফোঁটার পরই জারি হতে পারে বিজ্ঞপ্তি।
উল্লেখ্য, পুজোর (Durga Puja 2021) ছুটির আগেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, চার বিধানসভার উপনির্বাচন মিটলেই বকেয়া পুরভোট সেরে ফেলা হবে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সোমবার জানিয়েছেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন যখনই, যেদিনই ১১২টি পুরসভার ভোট ঘোষণা করুক না কেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।”

করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় লকডাউন ঘোষণার জেরে ২০২০ সালের মার্চে শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন কলকাতার পুরভোট স্থগিত করে দেয়। নির্বাচন বকেয়া থাকা অন্য পুরসভাগুলির সঙ্গে কলকাতা ও হাওড়ায় পুরপ্রশাসক বসিয়ে ভয়াবহ কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি সামাল দেয় রাজ্য সরকার। বিরোধীরা প্রথমে হাই কোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালত অতিমারীর সংক্রমণ না কমা পর্যন্ত পুরভোট স্থগিত করার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেয়।

মাসখানেক ধরেই রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার তলানিতে পৌঁছেছে। কলকাতার প্রায় ৮৫ শতাংশ স্থায়ী বাসিন্দা কোভিড টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং ১০০ শতাংশ ভোটারের টিকাকরণের প্রথম ডোজ সম্পূর্ণ বলে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশাসক অতীন ঘোষের দাবি। ভোটগ্রহণের এমন অনুকূল প্রেক্ষাপটে কলকাতা ও হাওড়ার পুরভোট ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest