প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতেই জোরকদমে প্রচার শুরু করে দেন প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায় (Tanima Chatterjee)। কিন্তু তারপরই বাঁধল গোল। ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হলেও, আদৌ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ তিনি পাচ্ছেন কিনা, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
১৯ ডিসেম্বর কলকাতার পুরভোট। আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু মনোনয়ন। রবিবার প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়ার কথা ছিল তৃণমূলের। সম্ভবত এদিন গভীর রাত অথবা সোমবার সকালের মধ্যেই প্রতীক পেয়ে যাবেন সকলেই। কিন্ত ঘটনাচক্রে এই মুহূর্তে প্রতীক পাচ্ছেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়। যা স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে প্রার্থী বদলের জল্পনা। তবে কি তনিমা চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে বিদায়ী কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই টিকিট দেবে ঘাসফুল শিবির? প্রশ্ন সকলের মনে।
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন তনিমার থেকে তৃণমূলের প্রতীক ফিরিয়ে নিতে। সূত্রের খবর, কোনও প্রতিবাদ বা বিসম্বাদের মধ্যে না গিয়ে দেবাশিসকে তৃণমূলের প্রতীক ফিরিয়েও দিয়েছেন তনিমা। রবিবার রাত পর্যন্ত ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে বিদায়ী ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর সুদর্শনা দিনভর দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতির অফিসে ধরনা দিয়েছেন আবার ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী হতে। সূত্রের খবর, রবিবার রাতে সুদর্শনা জেলা সভাপতি দেবাশিসের কাছে দলের প্রতীকও চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে ওই বিষয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি বলেই বিদায়ী কো-অর্ডিনেটরকে জানিয়ে দিয়েছেন দেবাশিস।
এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ তনিমাদেবী। তিনি বলেন, “শুনছি সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়কেই টিকিট দেওয়া হতে পারে। কিন্তু আমি তো প্রচার শুরু করে দিয়েছিলাম। যদি পালটানোরই ছিল, তাহলে আমাকে প্রার্থী করার কোনও প্রয়োজন ছিল না।” এবিষয়ে এখনও দলের তরফে কিছু জানানো হয়নি তনিমাদেবীকে। এ বিষয়ে একাধিকবার সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।