জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ছয় জন বিধায়ককে কলকাতা পুরভোটে (Kolkata Municipal Election) প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ৷ তালিকায় ঠাঁই পেলেন প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদার ৷ পুরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)-সহ মেয়র পারিষদ দেবব্রত (মলয়) মজুমদার (Debabrata Majumder), অতীন ঘোষ (Atin Ghosh), দেবাশিস কুমার (Debashis Kumar) – পুর পরিষেবায় দক্ষ এই চার বিধায়ককে ফের পুরভোটের (KMC Election) টিকিট দিচ্ছে দল। লড়াইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়ও।
বেশ কিছু দিন ধরেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল, খুব সম্ভবত ‘এক প্রার্থী এক পদ’ নীতি অনুসরণ করবে তৃণমূল ৷ যদিও বাস্তব ক্ষেত্রে সেই নীতি থেকে কিছুটা সরে এল দল ৷ ফলে বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) ফের ছোটো লালবাড়িতে ঢোকার লড়াইয়ে থাকবেন কিনা তা নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল তার অবসান হল ৷ এখন দেখার, ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ মেনে এই বিধায়করা কাউন্সিলার থাকেন না বিধায়ক? পাশাপাশি বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) দল প্রার্থী করবে এমনকী মেয়র হিসেবে তুলে ধরবে বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল তাও বাস্তবায়িত হল না ৷ কারণ প্রায় ঘণ্টা চারেকের বৈঠকের পর মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা জানিয়ে দেন বাবুল সুপ্রিয়কে প্রার্থী করা হয়নি ৷
একাধিক গুরুদায়িত্ব সামলানো শান্তনু সেনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ৷ কিছুদিন আগে ত্রিপুরায় দলের সংগঠনের কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয় শান্তনু সেনকে ৷ চিকিৎসক হিসেবে একাধিক কমিটির সদস্য তিনি ৷ সাংসদ হিসেবে দিল্লিতে একাধিক দায়িত্ব পালন করতে হয় ৷ তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, ভার লাঘব করতেই শান্তনুকে টিকিট দেওয়া হয়নি ৷
শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার আগে কালীঘাটে দলনেত্রীর বাড়িতে দীর্ঘ বৈঠক করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেখানে মমতা ছাড়াও ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে), এ ছাড়া দলের শীর্ষ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। বৈঠক শেষে কালীঘাটেই সাংবাদিক বৈঠক করে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার কথা জানান পার্থ এবং সুদীপ। পার্থ জানান, ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে তৃণমূলের প্রার্থী ১২৬ জন। অন্যান্য প্রার্থী ১৮ জন।
দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৪৪ টি ওয়ার্ডে ৮৭ জনই পুরনো প্রার্থী। নতুন মুখ ৪২ জন। বাদ পড়েছেন ৩৯। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ পুরুষ প্রার্থী, বাকি ৪৫% মহিলা। ১৯ জন প্রার্থী তফসিলি জাতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। ১৪৪টি ওয়ার্ড ধরেই পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের আই প্যাক ৷ তাদের সমীক্ষা রিপোর্ট এবং দলের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়েই প্রার্থী তালিকা করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর ৷