Site icon The News Nest

কূপমণ্ডুকের রাজনীতি করে সিপিএম, অজন্তার হয়ে তোপ ক্ষিতি-কন্যা বসুন্ধরার

ajanta basundhara

অজন্তাকে শাস্তি? সিপিএম স্টালিনিস্ট আচরণ করছে। জাগো বাংলায় কলম ধরে সে মত ব্যক্ত করলেন ক্ষিতি গোস্বামী কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামী।

মঙ্গলবার জাগো বাংলার উত্তর সম্পাদকীয় কলমে ক্ষিতি তনয়া তথা মনস্তত্ত্ববিদ লিখেছেন, “এটা বাস্তব যে বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। অজন্তা এটা লিখে কোনও ভুল করেননি। জাগো বাংলায় সম্পাদকীয় বিভাগও অজন্তার লেখায় বামপন্থীদের অংশ অটুট রেখে উদারতার পরিচয় দিয়েছেন।”

অজন্তার হয়ে যুক্তি তুলে ধরতে তিনিও কলম ধরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপত্রে ৷ আজ, মঙ্গলবার তাঁর লেখা উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে সেখানে ৷ সেখানে অজন্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে সিপিএম (CPIM) যে ভাবনা চিন্তা করছে, তাকে বামফ্রন্টের (Left Front) বড় শরিকের ‘স্টালিনিস্ট আচরণ’ বলে তিনি তোপ দেগেছেন ৷

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে চার কিস্তির একটি উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয় জাগোবাংলায় ৷ বিষয় ছিল, ‘বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি’ ৷ সেখানে আরও অনেক মহীয়সী নারীর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়েরও (Mamata Banerjee) ভূয়সী প্রশংসা করা হয় ৷

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা ছাপা হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক ৷ কিন্তু যিনি লিখলেন, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণেই এই শোরগোল পড়ে যায় ৷ কারণ, লেখিকা অজন্তা বিশ্বাস সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের (Anil Biswas) মেয়ে ৷ শুধু তাই নয়, তিনি দলের সদস্যও বটে ৷ তাই উত্তর সম্পাদকীয়র প্রথম কিস্তি প্রকাশের পর থেকেই এই নিয়ে হইচই শুরু হয় ৷ সিপিএমের তরফেও এই নিয়ে প্রথমে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি ৷ তখন দলের অন্দরে এই নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা ছিল না ৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য অজন্তা শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম ৷

আরও পড়ুন : কেবল জুলাই মাসে চাকরি হারিয়েছেন দেশের প্রায় ৩২ লক্ষ মানুষ

আর ঠিক এই পরিস্থিতিতেই অজন্তার পাশে এসে দাঁড়ালেন বামফ্রন্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক আরএসপি-র (RSP) প্রয়াত নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামী ৷ ‘জাগোবাংলা’য় তাঁর লেখা উত্তর সম্পাদকীয় ঘিরেও আলোচনা শুরু হয়েছে ৷ কারণ, তিনি অজন্তা ইস্যুতে নিজের লেখায় মুজফ্ফর আহমেদ ভবনের নেতাদের কার্যত তুলোধনা করেছেন ৷

বসুন্ধরার দাবি, সিপিএম স্টালিনিস্ট দল ৷ ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না ৷ কণ্ঠরোধ করে ৷ স্বাধীন মত প্রকাশের বিরুদ্ধে ৷ সিপিএমের এই ধরনের আচরণের জন্য বহু প্রতিভা বামফ্রন্টের স্রোত থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন ৷

তাঁর দাবি, সিপিএম সবকিছুতেই চক্রান্তের গন্ধ পায় ৷ তারপর বদনাম দিয়ে শাস্তির পথে যায় ৷ মানুষ এই খেলা ধরে ফেলেছে ৷ এই সূত্রেই সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের শোচনীয় ফলাফলের জন্য সিপিএমকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি ৷ তার পরও সিপিএমের কোনও শিক্ষা হয়নি বলে তিনি কটাক্ষ করেছেন ৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন এদিন বসুন্ধরার যে লেখা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তাঁর পরিচয় হিসেবে একদিকে যেমন ক্ষিতি-কন্যার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে, অন্যদিকে তাঁকে মনস্তত্ত্ববিদ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে ৷ কিন্তু অজন্তাকে রবীন্দ্রভারতীর ইতিহাসের অধ্যাপিকা হিসেবে পরিচয় করিয়েছিল ‘জাগোবাংলা’ ৷ কখনও তাঁর বাবা অনিল বিশ্বাসের নাম টানা হয়নি ৷

আরও পড়ুন : উহানের সব বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা করবে চীন

Exit mobile version