এসএসসি (SSC) গ্রুপ-ডি পদে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে পথে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন। বুধবার পুলিশের সঙ্গে এসএফআই (SFI)-ডিওয়াইএফআই (DYFI) নেতাদের ধস্তাধস্তিতে ধুন্ধুমার সল্টলেক করুণাময়ী এলাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক ছাত্র-যুবকে।
মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে এসএসসি দফতর পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করেন সিপিএম-র ছাত্র এবং যুব সংগঠন। সেই মিছিল কমিশন দফতর পৌঁছলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ব্যারিকেড ভেঙে ছাত্র-যুবরা এগোতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। তাতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। একাধিক ছাত্র-যুব নেতাকে অনৈতিক ভাবে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআই-র। মিছিলের সামনের দিকে থাকা মহিলাদের রেয়াত করা হয়নি। অভিযোগ প্রতিবাদীদের। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলেও খবর। পুলিশের এই বর্বরতার অভিযোগ তুলে দফতরের সামনেই অবস্থান শুরু করেন ছাত্র-যুবরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষমা চাইতে হবে তাঁদের কাছে। কেউ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাঁরা সরবেন না। তাংদের অভিযোগ, পুলিশ মহিলা সমর্থকদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। বাম নেত্রী মীনাক্ষীকে রাস্তায় টানতে টানতে নিয়ে যায় পুলিশ। রিয়াজুল করিম নামে এক সমর্থক মিছিলের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপরই বাম নেতা- কর্মীরা বলে ওঠেন, আর একটা সুদীপ্ত বা মইদুলের পরিণতি চান না তাঁরা।
একে একে প্রায় সৃজন, মীনাক্ষী সহ সব নেতা- কর্মী বা সমর্থককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিধাননগর পূর্ব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই থানায় যাচ্ছেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসির দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। ২০১৬ সালে রাজ্যে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। সেই মতো ১৩ হাজার নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে সেই গ্রুপ ডি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়। তারপরেও একাধিক নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ২৫ জনের নিয়োগের সুপারিশের কথা জানা গিয়েছে। সেই তথ্য হাইকোর্টের হাতে আসে। কী ভাবে মেয়াদ উত্তীর্ণ নিয়োগ তালিকা থেকে নিয়োগ তারই কৈফিয়ত চায় হাইকোর্ট। যদিও আপাতত সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।