বামেদের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধর্মতলায় ধুন্ধুমার, রক্তাক্ত ডোরিনা ক্রসিং, ভিড় জমছে হাসপাতালে

অভিযোগ, পুলিশি বাধার মুখে আধলা ইট ছুড়তে শুরু করেন বাম যুবারা। পালটা জলকামান ব্যবহার শুরু করে পুলিশ।
Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

বাম-কংগ্রেসের যুব সংগঠনগুলির নবান্ন অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ধর্মতলা চত্বর। বেধড়ক লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জলকামানে বেশ কয়েক জন বাম ও কংগ্রেসের যুব কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রাজ্যে নয়া শিল্প স্থাপন, বেকারত্ব-সহ একাধিক ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেয় বাম এবং কংগ্রেসের ১০টি ছাত্র ও যুব সংগঠন। কলেজ স্ট্রিট থেকে মৌলালি হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে একটি মিছিল পৌঁছয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। নবান্ন অভিযানে যাওয়ার কথা থাকলেও মিছিল এখানেই আটকে দেয় পুলিশ। বাধা দিতেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। তাড়া করে বাম কর্মী-সমর্থকদের পেটাতে শুরু করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। এই পরিস্থিতিতে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি নেয় গোটা এস এন ব্যানার্জি রোড। একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত জমায়েতে অশান্তি শুরু হয়। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। ছড়িয়ে ছিটিয়ে যান আন্দোলনকারীরাও। হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি, পুলিশের লাঠিচার্জে একাধিক জায়গায় খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়।

আরও পড়ুন: নাটকে নতুন মোচড়! শোভন -বৈশাখীর বিরুদ্ধে মামলা দেবশ্রীর, সাক্ষী দিলেন রত্না -কুণাল

পুলিশের লাঠিচার্জে একাধিক আন্দোলনকারী গুরুতর জখম হন। কারও মাথা ফাটে, কেউ পায়ে গুরুতর চোট পান। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স না থাকার অভিযোগ ওঠে। কোনও মহিলা পুলিশ কর্মীও ছিল না বলে অভিযোগ। দেখা যায়, আহতদের ভ্যানে কিংবা মোটর বাইকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। জানা যাচ্ছে এসএসকেএম ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। এর মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর।

আন্দোলনকারীদের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের উপর হামলা চালায়। বেধড়ক মারধর করা হয়। অভিযোগ, পুলিশি বাধার মুখে আধলা ইট ছুড়তে শুরু করেন বাম যুবারা। আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পালটা জলকামান ব্যবহার শুরু করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।বামেদের কর্মসূচির জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা।

লাঠির ঘায়ে আহত হয়ে, জলকামান, কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ অনেককেই রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুলিশ আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। অন্য দিকে আন্দোলনকারীরাও এলাকা ছাড়তে নারাজ। সংঘবদ্ধ মিছিল ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়ে পুলিশও।

আরও পড়ুন: চুরি গিয়েছিল হিটলারের টয়লেট সিট, শেষ পর্যন্ত কত টাকায় নিলাম হল জানলে চমকে যাবেন…

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest