পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূচনা। মাহেন্দ্রক্ষণে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে চলছে ঘাটে ঘাটে তর্পণ। বাবুঘাট থেকে বাগবাজার ঘাট-সর্বত্র একই ছবি। গঙ্গার ঘাটে কড়া নিরাপত্তা। তৎপর কলকাতা পুলিশ ও রিভার ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু অনেক গঙ্গার ঘাটেই ধরা পড়ল অসচেতনতার ছবিও।
মাস্কের বালাই নেই। গা ঘেষাঘেষি করে তর্পণ করছেন অসেচতন মানুষরা। এই চিত্র দেখা গেল বাবুঘাট, জাজেস ঘাট থেকে বাগবাজার ঘাট-সর্বত্র। করোনা আবহে পুরসভা তরফে গত বছরই বলা হয়েছিল অন্তত ছয় ফুট দূরত্ব মেনে যাতে তর্পণ করা হয়। মহালয়ার ভোরে ঘাটগুলিতে আম জনতার অসচেতনতার চিত্র দেখা গেল।
তর্পণ ঘিরে কড়া সতর্ক কলকাতা পুলিশ। গঙ্গা লাগোয়া পথে পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী যান চলাচল। প্রস্তুত বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩৭ টি দলও। প্রত্যেক ঘাটে একটি ঘরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল থাকছে। গঙ্গার প্রত্যেক ঘাটেই চলছে রিভার ট্রাফিকের স্পিড বোট, জেট স্কি-র টহল।
গঙ্গার বিপজ্জনক অংশ ভাসমান বল দিয়ে মার্কিং করা হয়েছে। তর্পণের সময়ে যাতে কেউ সেই ঘেরাটোপ পার না করে, তার জন্য বিশেষ নজরদারি চলছে। প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, দূরত্ববিধি মানতে হবে, পরতে হবে মাস্কও। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই বিধি মানার দৃষ্টান্ত ধরা পড়েনি।
করোনা কালে পুরসভা তরফে গত বছরই বলা হয়েছিল অন্তত ছ’ ফুট দূরত্ব মেনে যাতে তর্পণ করা হয়। সেই বার্তা প্রশাসনের তরফ থেকেও দেওয়া হয়েছিল। গত দু’বছর ধরে পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। মহালয়ার ভোরে ঘাটগুলিতে আম জনতা যাতে সুরক্ষার সঙ্গে তর্পণ শেষ করতে পারে, তার জন্য প্রশাসনের তরফে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নজরদারি সত্ত্বেও কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে অনেকেই করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে চলছে না।