চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় নেক্রোফিলিক? মরদেহের সঙ্গে সহবাস করত সে? সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে নাকি এমনই তথ্য সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, হাসপাতালের মর্গে নাকি অবাধ যাতায়াত ছিল সঞ্জয়ের। বেশ কয়েক মাস ধরে গভীর রাতেও নাকি মর্গে আলো জ্বলতে দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সঞ্জয়ের মোবাইল থেকে পাওয়া মর্গের বেশ কিছু ভিডিও দেখে ক্রমশ সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারীদের। ওই ভিডিওগুলিতে নাকি মরদেহের সঙ্গে সঞ্জয়ের সহবাসের ছবিও দেখা গিয়েছে। তবে মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস স্রেফ সঞ্জয়ের মানসিক ব্যাধি নাকি তার নেপথ্যে পর্নোগ্রাফির চক্র চলত মর্গে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আগেই সঞ্জয়ের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃতের ফোন থেকে পাওয়া গিয়েছে মর্গের বেশ কিছু ভিডিও। যা দেখে মাথা কাজ করছে না তাদেরও। ওই ভিডিওগুলিতে নাকি মরদেহের সঙ্গে সঞ্জয়ের সহবাসের ছবিও মিলেছে। এও সম্ভব? হতবাক খোদ সিবিআই।
সূত্রের দাবি, ২০২১ সাল থেকে বিগত কয়েক বছরের প্রায় প্রতিটি অর্থবর্ষেই অন্তত ৬০-৭০টি করে দেহের হিসাব পাওয়া যায়নি। সব থেকে বেশি সমস্যা দেখা দিয়েছে দেহাংশ নিয়ে। গরমিল রয়েছে মৃতদেহ, কঙ্কাল নিয়েও। কোনও কিছুরই ঠিক হিসাব নথিভুক্ত নেই মর্গের খাতায়। মর্গের ভিতরের নকশা, কোল্ড-চেম্বার, রেজিস্টার খাতা, শেষ কয়েক মাসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংগ্রহ করছেন তদন্তকারীরা
অভিযোগ, শেষ কয়েক মাস ধরে অধিকাংশ দিনগভীর রাতেও মর্গের ভিতরের আলো জ্বলতে দেখা যেত। আর জি করে ৪০টির বেশি কোল্ড চেম্বার রয়েছে। রাতে সেই চেম্বার খোলা হত বলেও অভিযোগ। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সেই সময়েই বের করা হত মৃতদেহ। তার পরে চলত সহবাস, যা মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করা হত। কারা এই কাজে যুক্ত, সেই চক্রের শিকড় কত দূর বিস্তৃত, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।