ইয়াসের ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ বণ্টনের রাশ নিজের হাতেই রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে টানা প্রায় দু’দিন নিজে কন্ট্রোলরুমে থেকে ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে তা বুঝে নিয়েছেন তিনি। এরপর জানিয়ে দিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই গোটা রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির হিসেব হাতে চলে আসবে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস–এর জেরে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক হিসেব। এবার হবে ফিল্ড সার্ভে। তাতেই উঠে আসবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত হিসেব বলে নবান্নে বৃহস্পতিবার জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নেওয়ার জন্য ৩ জুন থেকে দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি চালু করা হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
বছরখানেক আগে আমফানের ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি-সহ বাকি বিরোধীরা। যে কারণে এ বার ত্রাণ বিলির বিষয়ে রাজ্য যে বিশেষ সতর্ক থাকতে চলেছে তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই কার্যত স্পষ্ট। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “অর্থ দফতরকে বলব, আমফানের সময় যে কাজগুলো হয়েছে সেগুলোর অবস্থা কী তা খতিয়ে দেখতে হবে। জলে আমি এত টাকা ঢালবো না।”
আরও পড়ুন: ‘ইয়াস’ মানে জুঁই, পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘গুলাব’- নাম দিয়েছে পাকিস্তান
অন্যদিকে, ইয়াসের ত্রাণ বিলি সম্পর্কে মমতা জানান, আপতত ১০০০ কোটির ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। “দুয়ারে সরকারের মতোই দুয়ারে ত্রাণ শুরু করা হবে। আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হবে দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ। কার কী ক্ষতি হয়েছে সেটা সরকারি আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবে।” কেউ যদি বাড়িয়ে বলে ধরা পড়ে যাবে বলে সতর্ক করে দেন মমতা।
তিনি আরও জানান, ক্ষতিপূরণের জন্য গ্রামে গ্রামে ও ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করা হবে। সেখানে গ্রামবাসীরা আবেদন করবেন। সেই আবেদন পত্র ২৯ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত খতিয়ে দেখা হবে। তারপর ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সরাসরি প্রভাবিতদের ব্যাঙ্কেই ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ক্ষয়ক্ষতি দেখতে বাংলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী, কলাইকুন্ডায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক