Site icon The News Nest

পুজোর আগেই রাজ্যে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, নবান্নে ঘোষণা মমতার

mamta 1

পুজোর মধ্যেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। সোমবার নবান্নে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মমতা জানিয়েছেন, ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। ১০ হাজার ৫০০ পার্শ্ব প্রাইমারি টিচার (Teachers Recruitment) পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। ৭ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক মার্চের মধ্যে নিয়োগ করা হবে। সবমিলিয়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় বাংলার শিক্ষক মহলে স্বভাবতই খুশির হাওয়া।

আরও পড়ুন: রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে, ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে NHRC

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুজোর মধ্যেই ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ প্রাইমারিতেও আরও সাড়ে দশ হাজার শিক্ষক নিয়োহ হবে৷৷ পুজোর পরে মার্চ মাসের মধ্যে প্রাইমারিতে আরও সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ ফলে স্কুলগুলিরও সুবিধে হবে৷’

একুশের নির্বাচনের (West bengal Elections) আগে কর্মসংস্থান (Employment) ইস্যুতে মমতা সরকারকে একহাত নিয়েছিল বিরোধীরা। শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানা চলেছে রাজ্যে। রাজ্যে শিক্ষক আন্দোলন বাংলার শাসকদলের কাছে মাথাব্যথা ছিল। এই ইস্যুকে ঘিরে বাংলার শাসকদলকে বরাবরই নিশানা করেছে বিরোধী শিবির। টেট নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছিল।শেষমেশ একুশের লড়াইয়ে হ্যাটট্রিকের পর শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত যেভাবে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

শুধুমাত্র যোগ্য প্রার্থীদেরই নিয়োগ করার আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেধাই তাঁদের পরিচয় হবে৷ কারও কাছে লবি করার প্রয়োজন নেই৷ যারা পরীক্ষা দিয়েছেন, পরীক্ষায় পাশ করেছেন, যোগ্য প্রত্যেকে চাকরি পাবেন৷ আদালতে মামলা চলছিল বলে এতদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে ছিল৷’

উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজারের বেশি যে শূন্যপদ রয়েছে, প্রায় সাত বছর ধরে তার নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে৷ আজ, সোমবার সন্ধেতেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য নতুন করে ইন্টারভিউ-এর তালিকা প্রকাশ করার কথা স্কুল সার্ভিস কমিশনের৷ তার আগেই নবান্নে এ দিনের ঘোষণায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার উপরে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কারণ অতীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগে আদালাতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বার বার আন্দোলনে নেমেছেন চাকরি প্রার্থীরা৷ এবার তাই মসৃণ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই লক্ষ্য সরকারের৷

আরও পড়ুন: সাংগঠনিক দুর্বলতাতেই ভরাডুবি, জোট ধরে রাখার পক্ষে জোর সওয়াল CPM শীর্ষ নেতৃত্বের

Exit mobile version